ঘরে বসে হাত ভাঙার উপায় শিখছেন রাশিয়ানরা, কিন্তু কেন?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কোনো পক্ষই এখনো পূর্ণ জয় দাবি করতে পারেনি। তবে ইউক্রেনের লড়াকু জেদে কিছুটা হলেও পিছু হটছে রাশিয়া। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে সেনাবাহিনীতে আরও বেশি লোক নিয়োগ করতে চাইছে রাশিয়া।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য রাশিয়ার নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে পুতিনের এই আহ্বানে মোটেই খুশি নয় সেই দেশের সাধারণ জনগণ। ভ্লাদিমির পুতিনের মোবিলাইজেশনের ঘোষণার পর দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে শুরু করেছেন রাশিয়ার নাগরিকরা।


রাশিয়ার রাজপথে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে জনসাধারণ। এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক অবাক করা খবর সামনে এসেছে। গুগল সার্চ লিস্টে রাশিয়ার মানুষেরা এখন সবচেয়ে বেশি সার্চ করছেন “কীভাবে ঘরে বসে নিজের হাত ভাঙা যায়?” শুধু গুগল নয়, রাশিয়ার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই শব্দবাক্য ছেয়ে গিয়েছে।


সংবাদ মাধ্যম রইটার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুতিন সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন ৩ লাখ সংরক্ষিতদের অবিলম্বে ইউক্রেনের আক্রমণে লড়াই করার জন্য নিয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার প্রথম সংঘবদ্ধতার আদেশ দেন পুতিন।


এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ানদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য এবং তাদের পরিবারকে বিদায় জানানোর জন্য মাত্র চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণার পর ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে পাঁচ ঘণ্টা দীর্ঘ ট্রাফিকে কয়েক হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। মস্কো থেকে নিকটবর্তী দেশে যাওয়ার ফ্লাইটের দাম চলে গেছে ৫ হাজার ডলারে; যা একজন সাধারণ রাশিয়ান নাগরিকের কাছে কার্যত অসম্ভব।


যাদের কাছে কোনো উপায় নেই তারা চেষ্টা করছেন নিজে থেকেই হাত ভেঙে দেওয়ার। যাতে তারা শারীরিকভাবে অযোগ্য ওঠেন এবং সেনাবাহিনীতে যেন তাদের নিয়োগ না করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.