চাঁদ কবির কল্পনার 'ঝলসানো রুটি' নয়, বাস্তবের রুক্ষ মরুভূমি, রইল চাঁদ সম্পর্কে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বছরের পর বছর চাঁদ মানুষকে আকর্ষণ করে। চাঁদ নিয়ে মানুষ কল্পনার মায়াজাল বুনেছে। কখনও আবার কবিতা লিখেছে। প্রেমিক প্রেমিকাকে মনে করেছেন। সম্প্রতি চাঁদের মাটিতে পা রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা। আর্টেমিস ১ মিশন চালু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চাঁদের প্রতি আকর্ষণ অন্তহীন। 



বছরের পর  বছর চাঁদ মানুষকে আকর্ষণ করে। চাঁদ নিয়ে মানুষ কল্পনার মায়াজাল বুনেছে। কখনও আবার কবিতা লিখেছে। প্রেমিক প্রেমিকাকে মনে করেছেন। সম্প্রতি চাঁদের মাটিতে পা রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা। আর্টেমিস ১ মিশন চালু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।  আজ থেকে ৫০ বছর আগেই অবশ্য চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ। কিন্তু তারপরেও চাঁদের প্রতি আকর্ষণ অন্তহীন। এই অবস্থায় চাঁদ সম্পর্কে পাঁচটি আকর্ষণীয় তথ্য  রইল- যা জেনে রাখা অত্যান্ত জরুরি। 



চাঁদের বায়ু মণ্ডল

চাঁদে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। তাঁর এর পৃষ্ঠে কোনও গ্যাস নেই- এটা কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়। অ্যাপোলো -১৭ মিশনের নয় নাসা চাঁদে লুনার অ্যাটমোস্ফেরিক কম্পোজিশন এক্সপেরিমেন্ট যন্ত্র মোতায়েন করেছিল। যা থেকে জানা গেছে চাঁদে হিলিয়াম, অর্গান  , নিয়ন, অ্যামোনিয়া, মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড -সহ অল্প পরমাণু  ও অণু রয়েছে। 


চাঁদ সঙ্কুচিত হচ্ছে 

এর অভ্যন্তর ঠান্ডা হোযার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ সঙ্কুচিত হতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে নাসার মতে গত কয়েকশ মিলিয়ন বছর এক ব্যাস ৫০ মিটারেরও বেশি কমে যাচ্ছে। চাঁদের পৃষ্ঠে রয়েছে বালি। চাঁদের পৃষ্ট কিন্তু নমনীয় নয় ভঙ্গুর। চাঁদের মাটিতেও কম্পন অনুভূত হয়। 


চাঁদের মাটিতে ১২ জন 

১৯৬৯-১৯৭২  সাল পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে ১২ জন মহাকাশ্চারী পাঁ রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিন, চার্লস কনরাড, অ্যালান বিন, অ্যালান শেপার্ড, এডগার মিচেল, ডেভিড স্কট, জেমস আরউইন, জন ইয়ং, চার্লস ডিউক, ইউজিন সারনান এবং হ্যারিসন স্মিট। অ্যাপোলো মহাকাশ্চারী ৩৮২ কিলোগ্রাম চন্দ্রশিলা ও মাটি নিয়েছে এসেছে পৃথিবীতে। চাঁদে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চিন। 


চন্দ্র সম্পদ

চন্দ্রের ল্যান্ডস্কেপ একটি খালি মরুভূমির মত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে এর মাটিতে প্রচুর পরিমাণে খণি সম্পদ রয়েছে। রয়েছে হাইড্রোজেন । যা রকেট চালাতে কাজে লাগে। হিলিয়াম -৩, যা পারমাণবিক শক্তিতে কাজে লাগে। 


দ্বিমুখী 

আমাদের গ্রহের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে যতটা সময় নেয় তার অক্ষের উপর ঘুরতে। এই কারণে, আমরা কখনও চাঁদের একটি দিক দেখতে পাই, যাকে কাছের দিক বলা হয়। দূরের দিকটি চিরকাল আমাদের থেকে দূরে সরে যায়। ২০১৯ সালে, চীন প্রথম দেশ, যারা চাঁদের দূরের দিকে একটি মহাকাশযান অবতরণ করে। চাঁদের এই "দ্বিমুখী" প্রকৃতির ফলেও এর পৃষ্ঠ জুড়ে বিস্তৃতভাবে পরিবর্তিত তাপমাত্রা দেখা যায়। যদিও চাঁদের রৌদ্রোজ্জ্বল দিক ফুটন্ত জলের চেয়ে উত্তপ্ত হতে পারে। যা ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের হতে পারে। তাপমাত্র কখন মাইনাস ১৩৩ হয়ে যায়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.