মূত্রথলিতে আধ কিলো ওজনের পেল্লাই পাথর, সফল অপারেশন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে
ODD বাংলা ডেস্ক: রুগীর মূত্র থলিতে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছিল এই স্টোন, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় সিস্টস্টমি বলা হয়, স্টোন ইন উরিন ব্লাডার। মঙ্গলবার রুগীকে সম্পূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর অস্ত্রপ্রচার করা হয় এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের সেই পাথর কে কেটে দেহ থেকে বার করে আনার কাজ সফলতার সাথে সম্পূর্ণ করা হয়।
মূত্রথলি থেকে বার হল ৫০০ গ্রাম বা আধ কিলো ওজনের একটি পাথর। দেখতে অনেকটা শিল নোড়ার নোড়ার মত। আর এই পাথর মূত্রথলিতে নিয়ে দীর্ঘ দিন কাটিয়েছিলেব জলপাইগুড়ির মোহিতনগরের বাসিন্দা বছর তিরিশের অনন্ত সরকার। দীর্ঘ সময় ধরে পেটের তোলোদেশ থেকে শুরু হওয়া এক অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে ঘুরে ফিরছিলেন চিকিৎসার দুয়ারে দুয়ারে, অবশেষে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সল্য চিকিৎসা, নার্স, এবং অপারেশন থিয়েটারের সহকারীদের এক যৌথ লড়াইয়ে এলো সাফল্য, যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেলো অনন্ত।
চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রুগীর মূত্র থলিতে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছিল এই স্টোন, যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় সিস্টস্টমি বলা হয়, স্টোন ইন উরিন ব্লাডার। মঙ্গলবার রুগীকে সম্পূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর অস্ত্রপ্রচার করা হয় এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের সেই পাথর কে কেটে দেহ থেকে বার করে আনার কাজ সফলতার সাথে সম্পূর্ণ করা হয়।
দীর্ঘ ৭ বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন অনন্ত। একাধিক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্রমশই সমস্যা বাড়ছিল। ব্যাথার পাশাপাশি মূত্রত্যাগ করতেও সমস্যা হচ্ছিল। মূত্রত্যাগের সময় রক্তপাত হচ্ছিল। অনেক চিকিৎসকই তাঁকে অন্য রাজ্যে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সংসারে আর্থিক অনটন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনন্ত দ্বারস্থ হয় চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার রায়ের কাছে।
জলপাইগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক, প্রথমেই তাঁকে আল্ট্রা সোনোগ্রাফির পরামর্শ দেন। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায় তাঁর মূত্রথলিতে রয়েছে একটি বড় পাথর। তারপরই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অপারেশন টেবিলে কিছুটা হলেও অবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। কারণ তখনই তাঁরা জানতে পারেন মূত্রথলিতে পেল্লাই সাইজের একটি পাথর। যা দেখতে অনেকটা শিলনোড়ার মত।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার রায় বলেন, “মূত্রথলিতে পাথর হয়। কিন্তু এত বড় আকারে পাথর সচরাচর দেখা যায় না। ফলে অপারেশনে ঝুঁকি ছিল। মেডিক্যাল টিম গঠন করে অপারেশন করা হয়। সকলের সহযোগিতায় সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।” রোগী পুরোপুরি বিপদ মুক্ত বলেও জানান তিনি। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ জানান এটি একটি বিরল অপারেশন। তাতে সফল হওয়ায় তিনি গোটা মেডিক্যাল টিমকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Post a Comment