মহা মিথ্যাবাদীদের জন্য আজকের দিনটি

 

ODD বাংলা ডেস্ক: আপনার জীবনে শোনা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কোনটি? গল্প বলতে কে না পছন্দ করেন? মানুষ গল্প পড়তে কিংবা শুনতে যতটা না
পছন্দ করে, তার চেয়ে বেশি পছন্দ করে গল্প বলতে। পৃথিবীটা দাঁড়িয়ে আছে আটটি হাতির পিঠে। হাতিগুলো দাঁড়িয়ে আছে কচ্ছপের ওপর। আর একটি গোখরা সাপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেই কচ্ছপ। এদের কেউ নড়লেই ভূমিকম্প! কিংবা রাক্ষস-খোক্কস, রাজপুত্র-রাজকন্যা আর জিয়নকাঠির গল্প। অথবা হালের সিনেমার বাজেট! না, তুলনাটা মনে হয় ঠিক হলো না। আগেরগুলো নিরেট গল্প, রূপকথা-উপকথা। আর মিথ্যা অন্য জিনিস। 


গল্পকারেরা নানা কল্পনা বা মিথ্যার মিশেলেই গল্প বানান। যার মিথ্যা কল্পনার দৌড় যত বেশি, তিনি যেন তত বড় গল্পকার। ছোটবেলায় আমাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য মা-দাদি-নানিরা আজগুবি সব গল্প বলতেন। সত্যের সঙ্গে সেসবের সংস্রব অতি সামান্য। কিন্তু কী নির্মল আনন্দই না পেতাম আমরা! এসব নির্দোষ মিথ্যা নিতান্তই আনন্দের জন্য।


আবার চারপাশে দেখবেন, অনেকেই আছেন ডাহা মিথ্যাবাদী। তাদের তাৎক্ষণিক মিথ্যা বলার অসম্ভব ক্ষমতা দেখে অবাক হতে হয়। রীতিমতো দিনকে রাত, রাতকে দিন বানিয়ে ছাড়েন তারা। নিজেকে অন্যের কাছে বড় করে দেখাতে এমন সব মিথ্যা গল্প ফাঁদেন, শুনলে শ্রোতার নিজেকেই বরং অসহায় মনে হয়। 


আবার রাস্তায়-গাড়িতে, ফুটপাতে পণ্য বিক্রি করেন যে হকার-ক্যানভাসাররা, তাদের ‘কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে’, ‘বিফলে মূল্য ফেরত’ কিংবা ‘তেলেসমাতি সমাধান’-এর দ্রুত কথনে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না! কৌতুক অভিনেতাদের অতিরঞ্জিত মিথ্যা কথনও আমাদের হাসির খোরাক জোগায়।


যদি মিথ্যা নিয়ে হাজারো গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয় পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু কেমন হবে যদি মিথ্যা বলার জন্য বিশেষ দিবসের আয়োজন করা হয়। ঠিক এমনটি  ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।  ১৯৮৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেখানে চালু হয় ‘বিগ হুপার লায়ার ডে’। অব্রি রবিসন নামের একজন প্র্যাঙ্ক তারকা দিবসটির প্রবর্তন করেন। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হরমনি, ইন্ডিয়ানায় রীতিমতো মিথ্যা গল্প বলার প্রতিযোগিতাও হয়। এরপর থেকে এটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির প্রধানতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এটি লক্ষ রাখা যে মিথ্যা যেন আনন্দ বা বিনোদন হিসেবেই থাকে। নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.