কোনও কাজ শুরুর আগে হাঁচি কি সত্যিই অশুভ? জেনে নিন আসল কারণ



 ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই নানা সময় হাঁচি দিয়ে থাকি। সর্দি লাগলে বা অ্যালার্জির কারণে বা নাকে কোনও ছোট কণা ঢুকে গেলেও হাঁচি হয়। তবে হাঁচির সঙ্গে বেশ কিছু প্রচলিত ধারণা জড়িয়ে আছে। বিশেষ করে কোথাও বেরনোর আগে বা কোনও কাজ শুরু করার আগে হাঁচি অশুভ বলে মনে করা হয়। জেনে নিন হাঁচির সঙ্গে এমন ধারণা জড়িয়ে থাকার কারণ কী।


প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের দেশে হাঁচিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এই কারণে অনেকেই হাঁচি দেওয়ার পরে 'ওম শান্তি' বলে থাকেন। অনেকে মনে করে থাকেন হাঁচি দেওয়ার অর্থ আমাদের নাকের মধ্যে দিয়ে কোনও আত্মার শরীরে প্রবেশ করা অথবা শরীর থেকে নির্গত হওয়া। কোথাও যাওয়ার আগে নিজে হাঁচি দেওয়ার পাশাপাশি অন্য কেউ হাঁচলেও তা অশুভ বলে মনে করা হয়। তখন সেই ব্যক্তিকে কিছুক্ষণ বসে একটু জল খেয়ে তারপর বেরোতে বলা হয়ে থাকে।


অনেকে বলে থাকেন দিনের প্রথম ভাগে যদি দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে হাঁচির আওয়াজ শোনেন, তবে তা আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আবার একই দিক থেকে দিনের পরের ভাগে হাঁচির আওয়াজ শুনলে বুঝবেন আগুনের ভয় আছে আপনার। আবার দিনের তৃতীয় ভাগে হাঁচির অর্থ কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে চলেছে আপনার। আর চতুর্থা ভাগে হাঁচির আওয়াজ কোনও আনন্দদায়ক খবর নিয়ে আসে। তবে এই সবই প্রচলিত বিশ্বাস মাত্র। এর কোনও ব্যাখ্যা বা ভিত্তি নেই।


আসলে হাঁচি মানে সর্দি বা অ্যালার্জি, যাই হোক না কেন, তা আমাদের শরীর খারাপের দিকে ইঙ্গিত করে। পাশাপাশি মনোযোগ দিয়ে কোনও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার মুখে হাঁচলে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। তাই একটু অপেক্ষা করে মন শান্ত করে তারপর বেরোতে বা কাজ শুরু করতে বলা হয়। সেই কারণেই কাজে বেরনোর মুখে কেউ হাঁচলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। আসলে সব শুভ অশুভই আমাদের মনের সঙ্গে জড়িয়ে। কোনও জিনিস আমরা শুভ ভাবলে তা শুভ, আর অশুভ ভাবলে তা অশুভ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.