অশরীরী শক্তিকে অনুভব করতে পারেন এই নক্ষত্রের জাতকরা!
ODD বাংলা ডেস্ক: অশরীরীর আদৌ কোনও অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে যুগ যুগ ধরে। আমাদের চারপাশে কেউ কেউ ভূতে বিশ্বাস করেন, কেউ করেন না। আশ্চর্যের বিষয় হল, যাঁরা ভূতে বিশ্বাসী, তাঁদের অনেকেই ভৌতিক কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেছেন বা অশরীরীর অস্তিত্ব অনুভব করেছেন।
মৃত্যুর পর আত্মার মুক্তি না হলে সেই অতৃপ্ত আত্মা এই জাগতিক দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। জ্যোতিষ অনুসারে আত্মার এই উপস্থিতি আমাদের মধ্যে কেউ কেউ টের পান। অনেকের মনে হয় যে অশরীরী কেউ যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন, কথা বলতে চাইছেন। জ্যোতিষ বলছে যে রাক্ষস গণে জন্ম হলে অনেক সময় এরকম অনুভূতি মনের মধ্যে জাগতে পারে। জেনে নেওয়া যাক রাক্ষস গণ কী এবং কত ধরনের গণ রয়েছে।
৩ ধরনের গণ ও তার বৈশিষ্ট্য
আমাদের সবার জন্ম তিন ধরনের গণে হয়ে থাকে। এই তিনটি গণ হল দেব গণ, নর গণ ও রাক্ষস গণ। নর গণে যাঁদের জন্ম, তাঁরা একেবারেই স্বাভাবিক। এদের মধ্যে কোনও বিশেষ ক্ষমতা থাকে না। দেব গণের জাতকরা অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির মানুষ হন। আর রাক্ষস গণের জাতকদের কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে। রাক্ষস গণের জাতকরা অশরীরীর উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন। আমাদের চারপাশে যে একটা অদৃশ্য শক্তি সব সময় কাজ করে চলেছে সেটা বুঝতে পারেন রাক্ষস গণের জাতকরা।
আপনি কোন গণের জাতক কী ভাবে বুঝবেন?
জ্যোতিষ অনুসার কোনও ব্যক্তির জন্মছক দেখে তিনি কোন গণের জাতক তা বোঝা যায়। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের উপর এটি নির্ভর করে। দেবগণ, নরগণ ও রাক্ষসগণ হল বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জের আলাদা আলাদা অবস্থান। বৈদিক জ্যোতিষে ২৭টি নক্ষত্রপুঞ্জের কথা বলা আছে। এই ২৭টি নক্ষত্রপুঞ্জ ৩টি গণে বিভক্ত। অর্থাত্ ৯টি করে নক্ষত্রপুঞ্জ এক একটি গণের জন্য। যে যে নক্ষত্রের জাতক হলে আপনি রাক্ষসগণের জাতক হবেন, সেই নক্ষত্রগুলি হল - বিশাখা, মঘা, অশ্লেষা, কৃতিকা, চিত্রা, জ্যেষ্ঠা, মূল, ধনিষ্ঠা এবং শতভিষা।
Post a Comment