ছোট কয়টি অভ্যেসের পরিবর্তন কমাবে স্ট্রেস, মেনে চলুন সহজ পাঁচ টোটকা, এই অভ্যেস ঘটাবে উন্নতি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অফিসে কাজের চাপ থেকে সংসারে চাপ- এই সবের কারণে মানসিক চাপ বাড়ে। আর এই চাপ নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। এবার স্ট্রেসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজে অভ্যেসের বদল করুন। জেনে নিন কী কী করবেন।


স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন অনেক। শারীরিক ও মানসিক উভয় সমস্যায় ভুগছেন প্রায় সকলে। বয়স বাড়লেই শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ থেকে প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। এর সঙ্গে বাড়ছে মানসিক জটিলতা। টেনশন, হতাশা, মুড সুইং, উদ্বেগের মতো সমস্যা এখন সকলের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। আমরা প্রায় সকলেই উপেক্ষা করি। কিন্তু, জানেন কি এই সমস্যাও এক সময় বড় আকার নিতে পারে। অফিসে কাজের চাপ থেকে সংসারে চাপ- এই সবের কারণে মানসিক চাপ বাড়ে। আর এই চাপ নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে। এবার স্ট্রেসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজে অভ্যেসের বদল করুন। জেনে নিন কী কী করবেন। 


সারা দিন যতটা সম্ভব অ্যাকটিভ থাকুন। অধিকাংশেরই দিন কাটে ল্যাপটপের সামনে। দিনে প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘন্টা অফিসের শিফট। আর সব কাজ শেষ করতে সময় লেগে যায় প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা। এভাবে দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকার কারণে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সারাদিন যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে অ্যাকটিভ থাকার চেষ্টা করুন।


বারে বারে চা-কফি খাওয়ার অভ্যেস থাকে অনেকের। এই অভ্যেস যত পারবেন দ্রুত ত্যাগ করুন। ক্যাফিন গ্রহণ কমান। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। বারে বারে পানীয় খেতে ইচ্ছে করলে কখনও গ্রিন টি খান, কখনও খান শরবত। মেনে চলুন এই টিপস।

রোজ ৮ ঘন্টা ঘুমান। নানা কারণে অধিকাংশই প্রয়োজনের থেকে অনেকটা কম সময় ঘুমান। এতে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই অভ্যেস ত্যাগ করুন। দিনে অবশ্যই ৮ ঘন্টা ঘুমান। পর্যান্ত ঘুম না হলে মেজাজ সারাদিন খিটখিটে থাকে। তাই মেনে চলুন এই টিপস। 


নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। আবেগের বসে অধিকাংশই ভুল কাজ করে ফেলি। সে কারমে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো থাকবে। মিলবে উপকার।


মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক খাবার খান। রোজ সবজি ও ফল খান। তেমনই বন্ধ করুন রেস্তোরাঁর খাবার। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যেস থাকলে তা বন্ধ করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। এই ছোট কয়টি অভ্যেসের পরিবর্তনে স্ট্রেস কমবে। মেনে চলুন সহজ টোটকা, এই অভ্যেস ঘটাবে উন্নতি।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.