বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনে ভেসে উঠলো রানির মুখ



 ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা। এই ভবনের দেয়ালে আলো জ্বালিয়ে ব্রিটেনের সদ্য প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত ভবনটিতে এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।


বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮৩০ মিটার (২ হাজার ৭০০ ফুট)। রোববার রাতে ভবনটির এক পাশের দেয়ালে আলো জ্বালিয়ে রানির প্রতিকৃতি, আর অপর পাশে যুক্তরাজ্যের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।


স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে বৃহস্পতিবার মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে।


রোববার তার মরদেহ এডিনবরায় নেয়া হয়েছে। সোমবার রানির মরদেহ এডিনবরার সেন্ট গিলস ক্যাথেড্রালে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানে কাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তার মরদেহ থাকবে। এডিনবরার সেন্ট গিলস ক্যাথেড্রাল থেকে রানির মরদেহ আকাশপথে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বুধবার মরদেহ নেয়া হবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে।


রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আরো যা যা করা হচ্ছে:


ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সেই দিন আর না থাকলেও দেশটির রাজপরিবার নিয়ে এখনো বিশ্বজুড়ে কমবেশি আগ্রহ আছে। এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রয়াত হলে কীভাবে তার শেষকৃত্য হবে সেই বিষয়ে ব্রিটেনের পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকার সংবাদ সংস্থা ‘পলিটিকো’। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রিটেন সরকার এই পুরো পরিকল্পনার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’।


২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত গোপন পরিকল্পনার নথির তথ্য, রানির মৃত্যুর মুহূর্ত থেকে ১০ দিন পর পর্যন্ত চলবে মহাসমারোহে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানের এসব প্রস্তুতি। রানির মৃত্যুর দিনকে ‘ডি ডে’ বলে অবহিত করবেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা।


দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ রাজন্যদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘদিন সিংহাসনে আসীন ছিলেন। মৃত্যুর ১০ দিন পর তাকে সমাধিস্থ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার আগে পুরো যুক্তরাজ্যজুড়ে সফর সম্পন্ন করবেন তার পুত্র।


পরিকল্পনা অনুসারে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনে জন-সাধারণের সম্মান জানানোর জন্য তিনদিন রাখা হবে রানির মরদেহবাহী কফিন। সরকারের আরেকটি মেমোতে আশঙ্কা করা হয়, লন্ডনমুখী ভিড়ের কারণে নগরীটির সকল ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হতে পারে। পলিটিকো জানায়, রানির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা অনুষ্ঠান হবে সেইন্ট পল ক্যাথিড্রালে।


শেষকৃত্যানুষ্ঠানের দিন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এরমধ্যেই একমত পোষণ করেছেন।


এর আগে ২০১৭ সালে অপারেশন লন্ডন ব্রিজ নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম— দ্য গার্ডিয়ান। ওই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যকে আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে অন্তিম বিদায় জানাতে হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.