পুজোর এই ৫ ভুলে প্রার্থনা পৌঁছবে না ঠাকুরের কাছে? জানুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শাস্ত্র মতে এই নিয়মগুলি ঠিকঠাক ভাবে পালন না-করলে বছরের পর বছর ধরে পুজো করেও কোনও সুফল লাভ করা যাবেন না। পুজোয় কোন কোন নিয়ম উপেক্ষা করবেন না জেনে নেওয়া যাক।


পুজোর জরুরি নিয়ম


১. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও দেবদেবীর পুজো করার সময় প্রদীপ ও জলের ঘট এক সঙ্গে বা আশপাশে রাখবেন না। বাস্তু অনুযায়ী পুজোর ঘট সবসময় উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণে থাকা উচিত। আবার দেবী-দেবতাদের উদ্দেশে যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হবে তাঁকে সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব অর্থাৎ আগ্নেয় কোণে রাখা উচিত।


এই ধাতুর বাসনে পুজো করেল খুশি হন দেবতারা, কিন্তু কোন ধাতুর ব্যবহার বর্জিত?


২. পুজোর সময় কখনও বাসী বা ব্যবহৃত ফুল ব্যবহার করবেন না। সবসময় সতেজ ও টাটকা ফুল দিয়ে দেব-দেবীর পুজো করা উচিত। আবার যে দেবতার পুজোয় যে ফুল নিষিদ্ধ তা দিয়ে কখনও সেই দেবতার পুজো করতে নেই।


৩. শাস্ত্রে আসনে বসে পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হয় যে, মাটিতে বসে পুজো করলে তার যথাযথ ফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে দেব-দেবী বা নবগ্রহের সঙ্গে যুক্ত রঙের আসনে বসে পুজো করা উচিত। এর পাশাপাশি মাথা অনাবৃত রেখেও কখনও পুজো করতে নেই। ওড়না বা রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকে পুজো করবেন।


৪. আবার দেবী-দেবতার পুজোয় যে সামগ্রী ব্যবহৃত হয়, তার কখনও অভিমান করা উচিত নয়। অনেকে পুজোয় রুপোর বাসন, ঠাকুরের জন্য সুন্দর পোশাক কিনে আনতে পারেন। কিন্তু এগুলির কারণে অভিমানে মত্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানো উচিত নয়। পুজোয় ব্যবহৃত সামগ্রীর প্রদর্শন করলে বা নিজের গুণগান করলে যথাযথ ফল লাভ করা যাবে না। সবসময় শান্ত ও শুদ্ধ মনে পুজো করা উচিত।


৫. পুজো করার সময় কখনও রাগ করবেন না। এমনকি রাগের মাথায় কখনও কাউকে কোনও অপশব্দ বলে ফেলবেন না। পুজো করার সময় মনে খারাপ চিন্তাভাবনা আনলে তার ফল পাবনে না। তাই একাগ্রতার সঙ্গে শ্রদ্ধা-ভক্তি ভরে পুজো করুন।


পুজো করার সময় উপরিউক্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখলে মনস্কামনা পূরণ করতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.