ঘরে বসে কাজ করেও ওজন কমানোর কিছু দুর্দান্ত উপায়
ODD বাংলা ডেস্ক: হাঁটাহাঁটি নেই, দৌড়ঝাঁপ নেই। অনেকেই এখনো বাড়িতে বসে অফিস করছেন। এতে করে আর যা-ই হোক, ওজন কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ওজন যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমনি অনেক অসুখ ডেকে নিয়ে আসে। লকডাউনের কারণে বেশির ভাগ মানুষের বদলে গেছে জীবনধারা। লন্ডনের একটি কলেজের সমীক্ষায় জানা গেছে, লকডাউনে ৪৮ শতাংশ মানুষের শরীরের ওজন বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি এমন থাকলে দীর্ঘদিন ঘরে বসে কাজ করতে হবে। কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই ঘরে বসেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
আমাদের শরীর বিভিন্নভাবে ক্যালোরি বার্ন করে। কখনো বিশ্রাম করে, কখনো বা শারীরিক পরিশ্রম করে। পরিশ্রম করা ও ডায়েট করা ছাড়াও কাজের সময় বিপাকীয় গতি বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে শরীরের ক্যালরি পোড়ানো যায়। এতে করে ওজন কমে।
টেবিলে সোজাভাবে বসা
বাড়িতে থেকে অফিসের কাজ করার সময় চেয়ার বা টুলে বসলে একদিকে যেমন ব্যাক পেইন কমে, অন্যদিকে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সোজা হয়ে বসে কাজ করলে মাসলের ওপর চাপ পড়ে, এতে করে ক্যালরি বার্ন হয়। এ ক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে উঠে হাঁটা যেতে পারে। সুইজারল্যান্ডের একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, এভাবে বসে কাজ করলে শরীরে ফ্যাট জারণের মাত্রা বাড়ে।
ডেস্কে বসে হালকা শরীরচর্চা
আপনি ডেস্কে বসে কাজ করছেন বলে এমন না যে শরীর নড়াচড়া করতে পারবেন না। কাজের ফাঁকে ক্রাঞ্চ, পুশআপ, স্কোয়াট করা যেতে পারে। এতে করে একঘেয়েমিও দূর হবে। শরীরকেও রাখবে ফিট। এ ছাড়া ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা করা যেতে পারে। এটা শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত জল পান
জলের কোনো বিকল্প নেই। সারা দিনে প্রচুর জল পান করলে একদিকে যেমন শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়, অন্যদিকে ক্যালরি পুড়তে সাহায্য করে। জল একমাত্র পানীয়, যেখানে কোনো ক্যালরি নেই। এ জন্য কোনো হিসাব না করেই জল পান করা যেতে পারে।
প্রাণ খুলে হাসা
শুনতে কিছুটা অবাক মনে হলেও হাসি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। হাসলে যেমন মন ভালো থাকে, তেমনি হাসি ক্যালরিও বার্ন করে। হাসলে হার্টও ভালো থাকে। তাই বলে এমন নয় যে কারণে-অকারণে হাসতে হবে। কমিকস পড়ে, ফানি ভিডিও দেখে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় হাসা যেতে পারে।
তাপমাত্রা
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ঠাণ্ডা তাপমাত্রা শরীরে ব্রাউন ফ্যাটকে সক্রিয় করে, এতে করে বিপাকক্রিয়া বাড়ে এবং পেট বা এর আশপাশে ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে।
Post a Comment