'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান


ODD বাংলা ডেস্ক: ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতির প্রয়োজন। আর সেই নীতি সকলের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। দশেরার দিন এমনটাই বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত । তিনি আরও বলেন, 'সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য', 'ধর্মের ভিত্তিতে ভারসাম্যহীনতা' ও 'জোর করে ধর্মান্তর' কোনও দেশের জন্য কখনই শুভ নয় বলেও দাবি করেন তিনি 


ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতির প্রয়োজন। আর সেই নীতি সকলের জন্যই সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। দশেরার দিন এমনটাই বললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত । তিনি আরও বলেন, 'সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য', 'ধর্মের ভিত্তিতে ভারসাম্যহীনতা' ও 'জোর করে ধর্মান্তর' কোনও দেশের জন্য কখনই শুভ নয় বলেও দাবি করেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি, পূর্ব তিমুর, কসোভো , দক্ষিণ সুদানের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তিনি বলেন এই দেশগুলি যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তার ভিত্তি হল ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা। 


দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির মেন্টর হিসেবেই পরিচিত আরএসএস। এই সংগঠন প্রতি বছরের মত এবারও দশেরার অনুষ্ঠান পালন করছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানেই তিনি ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্যের কথা বলেন। তিনি বলেন, জনসংখ্যা নি.ন্ক্রমের পাশাপাশি ধর্মীয় ভিত্তিতে ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উপেক্ষা করা যায় না। সম্প্রতি তিনি গেশের বেশ কিছু মুসলিম ধর্মগুরু বা নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপরই তিনি এজাতীয় মন্তব্য করেছেন। যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 



তিনি বলেছেন, জনসংখ্যার জন্য সম্পদের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় সম্পদ না থাকলে জনসংখ্যা একটি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, জনসংখ্যাও কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আর দেশের জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি তৈরির করার সময় এই দুটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সন্তান ধারনের যে কোনও নীতিতে নারীদের স্বাস্থ্যের কথা অবস্যই মাথায় রাখতে হবে। আরএসএস-এর ইতিহাসে এই প্রথম দশেরার সমাবেশে সংগঠের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল পর্বতারোহী সন্তোষ যাদবকে। 


এদিনের অনুষ্ঠানে আরএসএস ও তার সহযোগীদের মূল এজেন্ডা পুনর্ব্যাক্ত করে তিনি বলেছিলেন, 'জন্মের হার একটি কারণ, বলপ্রয়োগ, প্রলোভন বা লোভ দ্বারা ধর্মান্তরিক হওয়া ও অনুপ্রবেশ একটি বড় কারণ।' কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অবশ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারনার সঙ্গে একমত হতে পারেনি এখনও। যদিও দলের সদস্য ও আরএসএস নেতারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি লাগু করার প্রস্তাব দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছে। 


সংসদে বিষয়টি উত্থাপনঃ 

এই বছর এপ্রিলেই জাতীয় আইনের জন্য মনোনীত রাজ্য সভার রাজ্যসভার সদস্য রাকেশ সিনহার বিলের উপর আলোচনায়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেছিলেন যে পরিবার পরিকল্পনা এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা যেভাবেই হোক জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও বলেছেন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তিনি আরও দাবি করেন এই পরিসংখ্যনই বলে দেয় জনসংখ্যা মিশন সফল হচ্ছে। 


গবেষণা রিপোর্ট বলছে, দেশভাগের পর অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের পর থেকে ভারতের ধর্মীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে কিছু পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রচুরভাবে স্থিতিশীল ছিল। মুসলমানদের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, বৃহত্তম সংখ্যালঘু, সমস্ত প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে এই সম্প্রদায়ের মধ্যেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছেন বর্তমানে এটি হিন্দুদের প্রায় সমান। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.