বিজয়া দশমীতে পান খাওয়ার রীতি, জানেন এর ধর্মীয় গুরুত্ব!
ODD বাংলা ডেস্ক: এই উৎসবকে মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশের প্রতিটি উৎসবেরই কোনো না কোনো ঐতিহ্য আছে। একইভাবে দশেরার দিনে পান খাওয়ার প্রথা রয়েছে। দশেরার দিনে পান খাওয়া কেন শুভ বলে মনে করা হয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক এখানে।
দশেরার উৎসব সারা দেশে ব্যাপক আড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। এই উৎসব মন্দের উপর ভালোর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দিনে পান খাওয়ার প্রথাও আছে। আসুন জেনে নিই কেন এই দিনে পান খাওয়া হয় এবং এর গুরুত্ব কী।
দশেরায় পান খাবেন কেন?
৫ অক্টোবর সারাদেশে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে দশেরা উৎসব। হিন্দু ধর্মে দশেরার উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। দুর্গাপূজার পর দশমীর দিন এই উৎসব অত্যন্ত উৎসাহের সাথে পালিত হয়। এই উৎসবকে মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশের প্রতিটি উৎসবেরই কোনো না কোনো ঐতিহ্য আছে। একইভাবে দশেরার দিনে পান খাওয়ার প্রথা রয়েছে। দশেরার দিনে পান খাওয়া কেন শুভ বলে মনে করা হয়, আসুন জেনে নেওয়া যাক এখানে।
কেন পান খাওয়া হয়
পানকে সম্মান, ভালবাসা এবং বিজয়ের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই রাবণ দহনের পর পান খাওয়া হয়। এটা সত্যের বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করে। এছাড়াও এই দিনে মা দুর্গা মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই মানুষ পান খেয়ে উদযাপন করে। দশেরার দিনে হনুমানেরও পূজা করা হয়। এই দিনে ভগবান হনুমানকে পান নিবেদন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ভক্তদের সকল সমস্যা দূর হয়। ভগবান বজরঙ্গবলী প্রসন্ন। এই দিনে রক্ষা স্তোত্র ও সুন্দরকাণ্ড ইত্যাদি পাঠ করা হয়। এতে করে সকল ইচ্ছা পূরণ হয়।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দূরে থাকবে
শারদীয় নবরাত্রির পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় পান খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি আমাদের সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া নবরাত্রির নয় দিন উপবাসও রাখেন অনেকে। উপবাসের পরে খাবার নেওয়া হয়। এই কারণে হজম সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এমন অবস্থায় পান খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
পান খাওয়ার অন্যান্য উপকারিতা
পান পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এটির বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটিতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এটি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে।
Post a Comment