সবজির খোসা না ফেলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া কাজে

ODD বাংলা ডেস্ক: ফলমূল ও সবজি কাটার পর খোসাগুলো আমরা অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দিই। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, ফল বা সবজির খোসা নানা ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করা যায়। ফল ও সবজির খোসা ফেলে না দিয়ে রূপচর্চা থেকে শুরু করে বাড়ির নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। 
দেখে নিন কিছু সবজি ও ফলের খোসার ব্যবহার...

> এনজাইম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আলুর খোসা চোখের নীচে কালি, ফোলাভাব এবং ক্লান্তিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। কিছু আলুর খোসা ১০-১৫ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার ঠাণ্ডা আলুর খোসা চোখের চারপাশে বেশ কিছুক্ষণ রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

> কলা বা কমলালেবুর খোসার ভেতরের অংশটা দাঁতে ঘষলে হলুদ দাগ দূর হয়। এই খোসায় ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম থাকে এবং এগুলো দাঁতের এনামেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যে কারণে দাঁত সাদা এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
 
> কমলালেবু বা পাতিলেবুর খোসা কীটপতঙ্গ এবং পোকামাকড় দূরে রাখতে দারুণ কার্যকর। লেবুতে থাকা সাইট্রাস গন্ধ কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বাড়ির যে সব জায়গায় প্রায়ই কীটপতঙ্গ এবং পোকামাকড় ঘোরাফেরা করে সেখানে এই খোসাগুলো রেখে দিন।

> ফল বা সবজির খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও নিউট্রিয়েন্ট ত্বকের জন্য খুব ভালো। ফল এবং সবজির খোসা ত্বককে উজ্জ্বল, এক্সফোলিয়েট, ময়েশ্চারাইজ এবং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কয়েকটি কমলালেবুর খোসা দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর খোসাগুলো গুঁড়ো করে মধু ও টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখ এবং গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর স্ক্রাব করে হালকা গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে অ্যাভোকাডো, পেঁপে বা কলার খোসার ভেতরের অংশটা মুখে ঘষতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.