উৎখাতের নোটিশ পেয়ে পুলিশের ওপর মৌমাছির ঝাঁক ছেড়ে দিলেন নারী!

ODD বাংলা ডেস্ক: মার্কিন এক নারীর ক্ষ্যাপাটে আচরণের সাক্ষী হলো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্য। উৎখাতের নোটিশ দিতে আসা শেরিফ দফতরের কর্মকর্তাদের ওপর মৌমাছি ছেড়ে দেন ঐ নারী।

পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি দল লংমেডোতে একটি উৎখাতের নোটিশ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় ম্যাসাচুসেটসের বাসিন্দা রোরি উডস (৫৫) নামের এক নারী তাদের ওপর মৌমাছির ঝাঁক ছেড়ে দেন।

ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ১২ অক্টোবর স্প্রিংফিল্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। পরবর্তী শুনানিতে তাকে ফের আদালতে তোলা হবে।

গণমাধ্যম মাস লাইভের খবরে বলা হয়, হ্যাম্পডেন কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের দাপ্তরিক নথি অনুযায়ী, কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটিরা আদালতের জারি করা উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে লংমেডোর একটি বাড়িতে যান। সেখানে তারা কয়েকজন বিক্ষোভকারীর সামনে পড়েন।

কিছুক্ষণ পরই এক নারী মৌমাছি বহনকারী একটি ট্রেলার নিয়ে গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ট্রেলারটি ঝাঁকাতে থাকেন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা নন। এ সময় একটি চাক থেকে কয়েক শ মৌমাছি বের হয়ে আসে। মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে ওই নারী নিজে সুরক্ষামূলক পোশাক পরে এসেছিলেন বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়।

এ সময় মৌমাছি কয়েকজন কর্মকর্তার শরীরে হুল ফোটায়। তাদের মধ্যে দু-তিনজন কর্মকর্তার অ্যালার্জি (সংবেদনশীল ত্বক) আছে। বিষয়টি ওই নারীকে বলা হলে তিনি বলেন, ‘ওহ, তোমাদের অ্যালার্জি আছে? খুব ভালো!’ পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টাইমসের খবরে বলা হয়, উডস ও অন্য বিক্ষোভকারীদের যুক্তি ছিল, তারা একটি অন্যায় উচ্ছেদ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছিলেন। ম্যাসাচুসেটস অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট প্রিডেটরি লেন্ডিং সংগঠনের সমন্বয়ক গ্রেস রস বলেন, বাড়ির মালিক অ্যাল্টন কিং পরদিন এ–সংক্রান্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছেন। এ অবস্থায় উচ্ছেদসংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকা উচিত ছিল।

সেখানকার সিভিল প্রসেস অফিসের চিফ ডেপুটি রবার্ট হফম্যান বলেন, ‘হ্যাম্পডেন কাউন্টি শেরিফের সিভিল প্রসেস ডিভিশনে দায়িত্ব পালন করছি দীর্ঘ দিন। কিন্তু এত বছরে এ ধরনের কিছু আমি দেখিনি। আশা করি, কাউন্টির বহিরাগত এসব বিক্ষোভকারী এ ধরনের মারাত্মক কর্মকাণ্ড করার আগে আরেকবার ভাববেন। কারণ, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’

হ্যাম্পডেন কাউন্টি শেরিফ নিক কোকচি বলেন, ‘আমাদের এক কর্মীকে আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। ভাগ্য ভালো যে সে সুস্থ আছে। নইলে ওই নারীকে হত্যার অভিযোগের মুখে পড়তে হতো। আমি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমর্থন করি। কিন্তু সীমা অতিক্রম করলে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.