বাচ্চার ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয় দুধের দাঁত, ভাঙার পর কী করবেন ? জানুন



 ODD বাংলা ডেস্ক: ছোট্টবাচ্চাদের দুধের দাঁত পড়ে যাওয়ার পরই মজবুত ও স্থায়ী দাঁত ওঠে। এই দুধের দাঁত ভাঙার পর সেটা অনেকে মাটতে পুঁতে দেন। ইদানীং ছোট বাচ্চাদের ধারণা ভাঙা দাঁত বালিশের তলায় রেখে ঘুমালে টুথ ফেয়ারি বা দাঁত পরি এসে সেই দাঁত নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ভাঙা দুধের দাঁতের কী করা উচিত। জ্যোতিষ শাস্ত্র ও সংখ্যা জ্যোতিষ বিচার করে এ বিষয়ে জানা যায়।


জ্যোতিষ শাস্ত্রের আর একটি শাখা সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তির শরীরের অঙ্গ তাঁদের গুণ, দোষ ও ভাগ্য নির্ধারণ করে। শাস্ত্র মতে দাঁতের গঠন ও তার রঙের ভিত্তিতে ব্যক্তির ভাগ্য, সুখ, দুঃখ, জ্ঞান ও লাভ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দাঁত ব্যক্তিকে সৌভাগ্যবান করে তোলে।


দুধের দাঁতের  গুরুত্ব


সংখ্যা জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে দুধের দাঁত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিষ অনুযায়ী সবার আগে যে দুধের দাঁত পড়ে তার গুরুত্ব সর্বাধিক। এই দাঁত সেই জাতকের ব্যবহার ও মানসিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে। প্রথম দুধের দাঁত পড়লে তার সঠিক যত্ন না-নিলে সেই জাতক ভবিষ্যতে একাকীত্বে দিন কাটাতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন মানসিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে সেই ব্যক্তিকে। পরবর্তী প্রজন্মের ওপর এর অধিক প্রভাব পড়ে জানাচ্ছে সংখ্যা জ্যোতিষ।


দুধের দাঁত পড়ে গেলে কী করবেন


দুধের দাঁত পড়ে গেলে তাঁকে তুলোয় পেঁচিয়ে বাঁশ গাছের তলায় পুঁতে রেখে দিন। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বাঁশ গাছের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শাস্ত্র মতে বাঁশ বংশবৃদ্ধির প্রতীক। দুধের দাঁত বাঁশ গাছের গোড়ায় মাটিয়তে পুঁতে রাখলে ব্যক্তির জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতি হয় এর ফলে। তবে বর্তমানে শহুরে অঞ্চলে বাঁশ গাছ পাওয়া মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে সাদা তুলোয় দুধের দাঁত মুড়ে মাটতে পুঁতে দিন।


উল্লেখ্য, দুধের দাঁতের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী দুধের দাঁতে ডেন্টাল স্টেম সেল থাকে, এই স্টেম সেলের সাহায্যে বাচ্চাদের একাধিক রোগ ও অসুস্থতা দূর করার সম্ভাবনা থেকে যায়। স্টেম সেল ব্যাঙ্কে দুধের দাঁত রাখা একটি ভালো পদক্ষেপ প্রমাণিত হতে পারে। তবে এটি করা সম্ভব না-হলে জ্যোতিষ পরামর্শ মেনে দুধের দাঁতটিকে মাটিতে পুঁতে দিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.