কদবেল কেন খাবেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: বাজারে এখন কদবেলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে। টক স্বাদের মৌসুমি এই ফলটি জ্যাম এবং চাটনি তৈরির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কদবেল মূলত ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় ফল। কদবেলে খাদ্যশক্তি রয়েছে কাঁঠাল ও পেয়ারার সমান। আমিষের পরিমাণ একটি আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি।

বিভিন্ন জৈব অ্যাসিডে ভরপুর ফল কদবেল। এতে ডায়রিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কদবেলের অপরিপক্ক ফল অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করা বন্ধ করতে পারে। আয়ুর্বেদ এবং লোকজ ওষুধ বহু শতাব্দী ধরে ডায়রিয়ার জন্য কদবেল ব্যবহার করে আসছে। এর ভেতরের রাসায়নিক উপাদান রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিন শরীরকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এর রস কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ কদবেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের জন্য উপকারী।

হাঁপানির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য কদবেল পাতার নির্যাসের আয়ুর্বেদিক ব্যবহার আছে। মধুর সাথে ৮ থেকে ১৬ গ্রাম তাজা কদবেল পাতার নির্যাস হাঁপানির বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর।

কদবেলের নির্যাস স্তন ক্যান্সার সৃষ্টিকারি কোষের বিস্তার বন্ধ করতে পারে।

কদবেল ফল উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এর পাতার গুঁড়া অপরিশোধিত ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস।

কদবেল পেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে, কারণ এতে আলসার নিরাময়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

কদবেল একটি মূত্রবর্ধক ফল। এই ফল শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করতে সহায়তা করে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কদবেল। ফলটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।

কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.