পাখিরা বাতাসের বিপরীতে ওড়ে কেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: সাধারণত বাতাস যেদিকে বয়ে যায়, পাখিরা তার উল্টা দিকে উড়তে ভালোবাসে। কালবৈশাখী ঝড়েও কাক, চড়ুই বা শালিক পাখির ওড়ার ধরন লক্ষ করলেই ব্যাপারটা ধরা পড়বে।

তবে সাধারণ বিচারে যে কারো মনে হবে, বায়ুপ্রবাহের দিকে ওড়াই তো উচিত, কষ্ট কম হবে, বাতাসের জোরে সহজে ওড়া যাবে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো, বায়ুপ্রবাহের দিকে ওড়া কঠিন ও কষ্টকর। এটা উড়োজাহাজের (অ্যারোপ্লেন) বেলায়ও সত্য।

পাখি বা উড়োজাহাজের উড়তে হলে নিচ থেকে ওপরের দিকে একটা বল প্রয়োগের প্রয়োজন। এই ঊর্ধ্বমুখী বল সৃষ্টি করার জন্য পাখি বা উড়োজাহাজকে তার ডানা এমনভাবে স্থাপন করতে হয় যেন ওপরের দিকে বায়ুর চাপ কম এবং নিচের দিকে বেশি হয়। 

চাপের এই পার্থক্যই তাকে ওপরের দিকে ঠেলে দেয়। তাদের প্রধান কাজ হলো ওড়ার সময় ডানার ওপরের বাতাসকে ধাক্কা দিয়ে আরো ওপরে সরিয়ে দেওয়া, যেন ডানার ঠিক ওপরের অংশে বাতাসের ঘনত্ব কমে চাপ কমে যায়।

উড়োজাহাজ ওড়ার সময় এর ডানার সামনের অংশ কিছুটা ওপরে তুলে দিয়ে এই কাজটি করে। পাখিও ওড়ার সময় একইভাবে তার ডানার ওপরের অংশ ফুলিয়ে বাতাসকে ওপরে ঠেলে দেয়।

বাতাসের বিপরীতে ওড়ার সুবিধা হলো, ওই অবস্থায় বাতাস সামনের দিক থেকে পেছনের দিকে জোরে প্রবাহিত হয়। এতে ডানার ওপরে ও নিচে বাতাসের চাপের পার্থক্য বেশি হয় এবং তাই সহজে ওড়া যায়। সে জন্যই বৈমানিকেরাও বায়ুপ্রবাহের উল্টা দিকে উড়তে পছন্দ করেন।

পাখির পালক এমনভাবে সাজানো থাকে, যেন বাতাস সহজে তার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। পাখিরা যদি বাতাসের দিকে উড়তে চায়, তাহলে বাতাস পেছন দিক থেকে সামনে যাবে, তাতে তার ডানার পালক ওলটপালট হয়ে সমস্যা দেখা দেবে। আর তা ছাড়া ডানার ওপরে ও নিচে বাতাসের চাপের পার্থক্য সৃষ্টি করাও কঠিন হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.