৩০ পেরতে না পরেতেই সাফল্যের চূড়ায় উঠতে চান? তাহলে রাশি অনুযায়ী এই মন্ত্রটি পাঠ করুন

ODD বাংলা ডেস্ক: প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকারা যদি প্রতিদিন তাদের রাশি অনুযায়ী বিশেষ কিছু মন্ত্র পাঠ করতে পারেন, তাহলে চুরান্ত সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার।

বৈদিক অ্যাস্ট্রোলজির উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে এই প্রবন্ধে আলোচিত মন্ত্রগুলি উচ্চারণ করার সময় আমাদের আশেপাশে পজিটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে শরীর এবং মস্তিষ্ক তো চাঙ্গা হয়ে ওঠেই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে মনের মতো চাকরি মেলে এবং গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠায় মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ছোট-বড় সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনের প্রতিটি দিনকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে হয়, তাহলে নিজের রাশি কি তা জেনে নিয়ে সেই মতো বিশেষ কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতে ভুলবেন না যেন! তাহলে জেনে নিন, সফলতার সিঁড়ি চড়তে কোন রাশির জন্য কোন মন্ত্র আদর্শ-

১. মেষরাশি:
বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের সফলতার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে যে মন্ত্রটির অন্দরে, সেটি হল- "ওম ইং ক্লিং সোয়াহা"। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে উঠে ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সুফল মিলতে সময় লাগবে না।

২. বৃষরাশি:
"ওম হ্রিম ক্লিং শ্রিং", এই মন্ত্রটি প্রতিদিন ১০৮ বার পাঠ করতে হবে বৃষরাশির জাতক-জাতিকাদের। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! আসলে এই মন্ত্রটি পাঠ করার অভ্যাস করলে কর্মজীবনে সফলতার স্বাদ পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি সামাজিক সম্মানও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

৩. মিথুনরাশি:
এই রাশির অধিকারীরা যদি ৩০ বছরের আগেই যদি সফলতার চূড়ায় উঠতে চান, তাহলে প্রতিদিন "ওম শ্রিং ইং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, প্রতিদিন ১০৮ বার এই মন্ত্রটি জপ করলে বাস্তবিকই কিন্তু জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। তাই বন্ধু এই মানব জীবনকে যদি আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে এবার থেকে কী করা উচিত, সে সম্পর্কে নিশ্চয় এখন জেনে গেছেন।

৪. কর্কটরাশি:
"ওম আং ক্লেং শ্রিং", এই মন্ত্রটি প্রতিদিন ১০৮ বার পাঠ করতে হবে কর্করাশির জাতক-জাতিকাদের। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয় চোখের নিমেষে।

৫. সিংহরাশি:
বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকরা বেজায় লড়াকু মানসিকতার হয়ে থাকেন। তাই তো যে কোনও বাঁধা পেরিয়ে সফলতার স্বাদ পেতে এমনিতেই এদের বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না। তার উপর যদি "ওম হ্রিং শ্রিং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি এরা নিয়মিত জপ করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!

৬. কন্যারাশি:
প্রতিদিন সকালে উঠে শান্ত মনে "ওম শ্রিং ইং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি এদের কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। এমনটা করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পাবে যে বুদ্ধির ধার বাড়বে চোখে পরার মতো। আর বুদ্ধি বাড়লে কর্মক্ষেত্রে সফলতা পেতেও যে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না, তা কি আর বলে দিতে হবে!

৭. তুলারাশি:
এই রাশির অধিকারীরা যদি চটজলদি সফল হতে চান, সেই সঙ্গে হয়ে উঠতে চান অনেক অনেক টাকার মালিক, তাহলে নিয়মিত এক মনে "ওম হ্রিং ক্লিং শ্রিং", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!

৮. বৃশ্চিকরাশি:
সফলতা এবং এদের মাঝে কেউ এলে তাঁকে পিষে দিয়ে সামনে এগিয়ে যায় এই রাশির জাতক-জাতিকারা। এমন মানসিকতা যাদের, তারা সফল হতে কতটা মরিয়া, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই কম সময় সফলতার স্বাদ পেতে এদের কোনও মন্ত্রের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তবু যদি প্রশ্ন করেন, তাহলে উত্তরে বলবো "ওম আং ক্লেং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি জপ করলে কর্মক্ষেত্রে এদের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে সময় লাগবে না।

৯. ধনুরাশি:
"ওম হ্রিং ক্রিং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি নিয়মিত এদের ১০৮ বার পাঠ করতে হবে, তবেই মিলবে সফলতার সন্ধান।

১০. মকররাশি:
বেজায় শান্ত স্বভাবেরও হলেও নিজের কাজ সম্পর্কে এরা এতটাই সিরিয়াস যে নিজের কাজতে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এরা যে কোনও মূল্য় চোকাতে পিছপা হন তাই। তাই আজ না হয় কাল, এরা সফল হনই। কিন্তু যদি মন্ত্রের কথা জিজ্ঞাস করেন, তাহলে বলতে হয়, মকররাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রম করার পাশাপাশি যদি নিয়মিত ১০৮ বার "ওম আং ক্লিং হ্রিং শ্রিং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করেন, তাহলে উপকার মিলতে সময় লাগে না।

১১. কুম্ভরাশি:
"ওম হ্রিং আং ক্লিং শ্রিং", এই মন্ত্রটি যদি এরা প্রতিদিন পাঠ করতে পারেন, তাহলে জীবনের ছবিটা বদলে যায় চোখের নিমেষে।

১২. মীনরাশি:
৩০ পেরতে না পেরতেই চরম সফলতার স্বাদ পেতে চান নাকি? তাহলে প্রতিদিন সকাল সকাল উঠে শান্ত মনে "ওম হ্রিং ক্লিং সোয়াহা", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, টানা এক মাস এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, তাহলেই দেখবেন সুফল মিলতে শুরু করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.