দুপুরে খাওয়ার অভ্যাস হোক স্বাস্থ্যকর



 ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের কাছে দুপুরের খাবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তারপরও অনেকসময় নিয়ম মেনে খাওয়া হয় না। টুকটাক কিছু খেলেও, সেটা কতটা স্বাস্থ্যকরভাবে খাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ জানে না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে দুপুরে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে। কারণ শুধু খাবারই গুরুত্বপূর্ণ নয়, পরিবেশটাও গুরুত্বপূর্ণ।


নিজের খাবার নিজে তৈরি


অবিবাহিত কর্মজীবীদের প্রতিদিন বাইরে খাওয়ার পেছনে অতি প্রচলিত অজুহাত সকালে খাবার তৈরির সময় হয় না। তবে আগের রাতের অতিরিক্ত খাবার কিন্তু পরের দিনের স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার হতে পারে। ঘর থেকে আনা খাবারের দুটি বড় ধরনের সুবিধা হল এতে খরচ কমে এবং আপনি জানেন খাবারটা কতটুকু নিরাপদ।


ব্রিটিশ ডায়াটেটিক অ্যাসোসিয়েশন’য়ের পুষ্টিবিদ ও মুখপাত্র গিলিয়ান কিলিনার বলেন, রেস্তোরাঁর খাবার হওয়া উচিত একেবারে শেষ উপায়। কারণ এতে থাকতে পারে অস্বাস্থ্যকর উপকরণ কিংবা রান্না করা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিংবা দুটোই হতে পারে। যা ক্ষতিকর এবং তৃপ্তিহীন।


দুপুরের খাবারে রাখুন হাই ফাইবার খাবার


আঁশে ভরপুর অর্থাৎ হাই ফাইবার খাবারগুলো (যেমন লাল আটার রুটি, হোল গ্রেইন বিস্কুট) আপনার পেট ভরা রাখবে অনেকক্ষণ। তাই সহজে খিদেও লাগবে না, অন্য খাবার কম খাওয়া হবে।


অস্ট্রেলীয় পুষ্টিবিদ ট্রেন্ট ওয়াটসন বলেন, আমার দুপুরের খাবারের পাশাপাশি আমি সব সময় হালকা নাশতা রাখি। কোনো মৌসুমি ফল, যে মৌসুমই হোক। সঙ্গে একটু লো ফ্যাট দই, ৪ টুকরো হাই-ফাইবার বিস্কুটের উপর হালকা করে মার্জারিন দেয়া।


খাবার হোক রঙিন


নিউট্রিশন অস্ট্রেলিয়ার মতে, রঙিন খাবারে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ, পুষ্টি উপাদান এবং ফাইটোকেমিকেলস নামের উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক থাকে যা রোগের সঙ্গে লড়তে সহায়তা করে।


পুষ্টিবিদ সিমোন অস্টিন বলছিলেন, আজকে আমি দুপুরের খাবার হিসেবে এনেছি গতরাতে রান্না করা ভুট্টা এবং স্যামন মাছ। সঙ্গে আছে চেরি টমেটো, লেটুস, লাল ক্যাপসিকাম, আরুগুলা শাক—সিরকা, লবণ এবং গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে মাখানো। খাওয়া শেষ করেছি বাড়িতে বানানো কলার কেক দিয়ে, দারুণ মজার ছিল!


জল পান


কিছুক্ষণ পরপর জলের বোতলে চুমুক দেয়া জল পানের সর্বোত্তম উপায়। খাওয়ার আগে পরে অতিরিক্ত জল পান করলে পেট ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, হতে পরে বুক জ্বালাপোড়াও। একবেলার খাবারের সঙ্গে ২৫০ মি.লি. লিটার জল যথেষ্ট। তবে কিলিনারের উপদেশ হল খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে আধা লিটার জল পান করা। এতে ক্ষুধা কমে যাবে, ফলে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।


খাওয়া পরে আলস্য


দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ভাতঘুমের তীব্র ইচ্ছা কিংবা ‘ডেজার্ট’ খাওয়ার লোভ হওয়ার পেছনে দায়ী আসলে কী খেয়েছেন সেটার ওপর নির্ভর করে। ভাত, অতিরিক্ত রুটি, পাস্তা, আলু ইত্যাদি ‘কার্বোহাইড্রেইট’য়ে ভরপুর খাবারই আসলে আলসেমির কারণ।


কিলিনার বলেন, তেলওয়ালা মাছ, সামুদ্রিক খাবার, লাল চালের ভাত, ওটস কেক, রঙিন সবজি ইত্যাদি হবে আদর্শ বিকল্প। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তরকারি বেশি করে খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.