গর্ভাবস্থায় কি ভাত খাওয়া উচিত? স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী না ক্ষতিকর, জেনে নিন

 

ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় ভাত খাওয়া একেবারে নিরাপদ। তবে কত ভাত খাবেন? এই যত্ন নেওয়া আবশ্যক. অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাওয়া হলে ওজন বাড়তে পারে। এতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও মা সুস্থ থাকেন।

গর্ভাবস্থা মহিলাদের জন্য একটি অত্যন্ত মূল্যবান মুহূর্ত। এই সময়ে মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এর ফলে শুধু মায়েরই নয়, সন্তানেরও শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ জন্য নারীদের খাদ্য ও জীবনযাত্রার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে গর্ভাবস্থায় ভাত খাওয়া কতটা ভালো। এই বিষয় নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ আছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে সবকিছু-

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় ভাত খাওয়া একেবারে নিরাপদ। তবে কত ভাত খাবেন? এই যত্ন নেওয়া আবশ্যক. অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাওয়া হলে ওজন বাড়তে পারে। এতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও মা সুস্থ থাকেন।

সাদা চাল এবং ব্রাউন রাইস রাইস উভয়ই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন ডি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, ভাতে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট শরীরকে শক্তি জোগায়। একই সময়ে, বাদামী চাল খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের পেট সংক্রান্ত রোগে উপশম দেয়। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রও শক্তিশালী হয়। এছাড়াও, বাদামী চালের একটি খুব কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে।

এতে চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ জন্য গর্ভবতী মহিলাদের ভাত খাওয়া উচিত। এ জন্য স্যামন মাছের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এর ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। এছাড়াও এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই গুণগুলো মস্তিষ্ককে সব ধরনের রোগ থেকে নিরাপদ রাখে। এ জন্য স্যামন মাছ ও ভাত খাওয়া যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.