গর্ভবতীদের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে যোগা, বাড়ায় সন্তান ধারণের ক্ষমতাও

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কাজের চাপ। তার মধ্যে আলাদা করে শারীরচর্চা করার উপায়ও তেমন নেই। কিন্তু নিজের খেয়াল রাখতে হবে নিজেকেই। অনেকে আবার করোনা পরিস্থিতিতে জিমে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। অগত্যা ভরসা করছেন যোগব্যায়ামের ওপরেই। কিন্তু এই যোগব্যায়াম শুধু শরীর ফিট রাখতেই সাহায্য করে না, পাশাপাশি মাতৃত্বের স্বাদ পেতেও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে। বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক।


সন্তান ধারণের জন্য মানসিক প্রস্তুতির যেমন প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই দরকার পড়ে শারীরিক প্রস্তুতিও। কারও যদি শরীরের ওজন বেশি হয়, তা হলে বাড়িতেই ঠিক মতো যোগব্যায়াম এবং নিয়মমাফিক ডায়েট মেনে চললে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি সন্তান ধরণেও তা সাহায্য করে। তবে যাঁদের ওজন কমালোর দরকার নেই, তাঁরাও চাইলে যোগব্যায়াম করতে পারেন। কারণ দেখা গিয়েছে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ে বহুলাংশে।এ ছাড়াও নানা জটিল রোগের সমস্যা অনেক সময়ে মিটে যায় নিয়মিত যোগব্যায়ামের অভ্যাসে।


কী ভাবে সন্তান ধারণের ক্ষমতা বাড়ায় যোগব্যায়াম?


নানা ফিটনেস কোচ এবং যোগব্যায়ামের শিক্ষকদের মতে যোগব্যায়াম শারীরিক এবং আম্নসিক দুই ভাবেই কোনও নারীর ফার্টিলিটি রেট বাড়াতে সক্ষম। দেখে নেওয়া যাক, কী ভাবে তা হয়।


১) নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে তা উদ্দীপিত করে ডিম্বাশয় এবং জরায়ুকে। এ কথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই যে, কেন ওভারি এবং ইউটেরাস সুস্থ রাখা প্রয়োজন।


২) নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ব্যাক মাসল, কোমর এবং পিঠের পেশি শক্তিশালী হয়। তাতে রক্ত সঞ্চালনও হয় বেশি পরিমাণে।


৩) রোজ যোগব্যায়াম করলে শরীরের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে গিয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।


৪) প্রজননক্ষম অঙ্গগুলির মধ্যে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে নিয়মিত যোগব্যায়ামের অভ্যেস।


৫) ঘাড়ের পেশি মজুবুত করা এবং শিরদাঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে যোগব্যায়াম।


৬) নিয়মিত যোগব্যায়ামের চর্চা থাকলে আদতে তা মন ভালো রাখে। ফলে সন্তান জন্মানোর আগেকার যা অত্যধিক চাপ, টেনশন ইত্যাদি থাকে, তা থেকে খানিক রেহাই পাওয়া যায়।


৭) এ ছাড়া সন্তানের জন্মের সময়কার যে তীব্র কষ্ট, তা খানিকটা হলেও লাঘব করতে সাহায্য করে যোগব্যায়ামের চর্চা।


কোন আসনে উপকার বেশি?


যোগব্যায়ামের আসন সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু যদি কেউ শুধু মাত্র প্রজননক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যোগব্যায়াম করতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে বেছে নিতে হবে পশ্চিমোত্তানাসন এবং বিপরীত করণী আসন।


কী ভাবে করবেন পশ্চিমোত্তানাসন?


১) মেঝেয় একটা লম্বা যোগা ম্যাট পাতুন।


২) তার ওপরে টান টান করে পা ছড়িয়ে বসুন।


৩) এ বার দু'হাত দিয়ে দু পায়ের বুড়ো আঙুল ধরার চেষ্টা করুন।


৪) এই সময়ে মাথা হাঁটুতে ঠেকবে।


৫) এই ভাবে করার পর সোজা হয়ে বসুন।


৬) একই পদ্ধতি তিন থেকে পাঁচ বার পশ্চিমোত্তানাসন করুন।


গর্ভবতীদের জন্য খুবই ভালো জাফরান, জেনে নিন ৫ উপকারিতা


কী ভাবে করবেন বিপরীত করণী আসন?


১) এই আসনটি করার জন্য মেঝের পাশাপাশি দেওয়ালের সাপোর্টও ভীষণ জরুরি।


২) এই আসন করতে প্রথমে যোগা ম্যাটের ওপরে শুয়ে পড়ুন।


৩) এর পর দু'পা তুলে দেওয়ালে রাখতে হবে।


৪) অর্থাৎ দুই পা এবং শরীর এই আসনের ভঙ্গিমায় থাওবে ৯০ ডিগ্রি অবস্থায়।


৫) সাপোর্ট দেওয়ার জন্য দুই হাত থাকবে টান টান করে, মেঝের ওপরে রাখা।


৬) এর আসনও তিন থেকে পাঁচ বার করতে পারেন।


যে কোনও আসন করার সময়ে ভীষণ জরুরি তার সঙ্গে শ্বাস- প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখা। তবে এর পাশাপাশি এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, শুধু যোগব্যায়াম করলেই চলবে না। ফল পেতে গেলে তার সঙ্গে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করাও জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.