আসতে চলেছে গুড় খাওয়ার মরসুম, সর্দি ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধে প্রতিদিন এই উপায়ে খান গুড়
ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যালরি ছাড়াও গুড়ের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এর পাশাপাশি গুড়ের প্রভাব গরম এবং এটি শরীরকে ঠান্ডার প্রভাব থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
গুড় একেবারে দেশি এবং আমাদের ঐতিহ্যবাহী এক মিষ্টি। এটি আখ থেকে প্রস্তুত করা হয় তবে একই সঙ্গে খেজুরের রস এবং খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করা হয়। ক্যালরি ছাড়াও গুড়ের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। এর পাশাপাশি গুড়ের প্রভাব গরম এবং এটি শরীরকে ঠান্ডার প্রভাব থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এ কারণেই শীতের মৌসুমে গুড় ও চীনাবাদাম দিয়ে তৈরি গুড়ের চিক্কি, তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি তিল পাপড়ি, গজক ও গুড়ের ক্বাথ ব্যবহার করা হয়।
আয়ুর্বেদে গুড়ের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে এবং অনেক ওষুধ তৈরিতে গুড় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, অনেক রোগের চিকিত্সার সময়, রোগীদের সীমিত পরিমাণে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, রক্তস্বল্পতার ক্ষেত্রে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা গুড় এবং তা থেকে তৈরি খাবার খেতে বলেন। শীতের মৌসুমে গুড় কী কী সমস্যা থেকে রক্ষা করে, সেই সঙ্গে গুড় খাওয়ার আরও কী কী উপকারিতা রয়েছে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গুড় খেলে কি কি উপকার হয়?
আপনি যদি প্রতিদিন এক থেকে দুই ইঞ্চি গুড় খান তবে আপনি অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। প্রতি মৌসুমেই এই পরিমাণ গুড় খেতে পারেন...
গুড় খেলে হজমশক্তি ভালো হয়
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়
শরীরে আয়রন পায়
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত হয়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে
চিনির লোভ প্রশমিত করে
শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে
কিভাবে গুড় খেতে হয়
গুড় এমন একটি খাদ্য উপাদান, যেটি আপনি যে কোনও ঋতুতে এবং যে কোনও সময় খেতে পারেন। দুধের সঙ্গে খেলে শরীর অনেক উপকার পায় এবং ঘুমের মানও ভালো হয়।
খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে গুড় খাওয়াই ভালো। কারণ এটি কেবল মিষ্টির লোভই প্রশমিত করে না, হজমশক্তিও উন্নত করে।
নাস্তার সময় গোলা (শুকনো নারকেল), চিনাবাদাম, বাদাম, আখরোট সামান্য গুড়ের সঙ্গে খেলে শরীরে এনার্জি লেভেল ঠিক থাকে।
শীতের মৌসুমে গুড়ের চিক্কি, গুড়ের তিল দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ময়দা ও গুড় দিয়ে তৈরি লাড্ডু খেলে ঠান্ডার প্রভাব পড়ে না।
Post a Comment