পাথরের ভেতরে একটি মেয়ে আছে, ১৩ সেকেণ্ডে খুঁজে দিন



 ODD বাংলা ডেস্ক: অপটিক্যাল ইলিউশন বা ছবির ধাঁধা খেলতে যারা ভালোবাসেন-তারা বুদ্ধিমান। এই খেলার জনপ্রিয়তাও রয়েছে বুদ্ধিমানদের কাছে। আসলে ছবির ধাঁধা সত্যিই খুব আকর্ষণীয়।

একবার লেগে পড়লে সমাধান না করা পর্যন্ত ওঠা কঠিন। এই কারুকাজ করা ছবিগুলো যেভাবে আমাদের মনের সঙ্গে লুকোচুরি চালায় তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। মনও আনন্দে ভারে ওঠে।


শুধু আমরা নই, বিজ্ঞানীরাও মানুষের মস্তিষ্কে অপটিক্যাল ইলিউশনের প্রভাবের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন এবং সেই অনুযায়ী মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নিয়েও চলছে নানা পরীক্ষা। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন, পর্যবেক্ষণ দক্ষতার পরীক্ষা করতে লেগে পড়া যাক। শুরু করা যাক আজকের ছবি দিয়ে।


ছবিটি দেখে নেয়া যাক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি পাথর। আর পাথরের গঠনটা নিশ্চয়ই দেখা যাচ্ছে। পাথরের বিন্যাসে তার শিরা-উপশিরাগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আর এই পাথরের মধ্যেই লুকানো আছে আজকের চ্যালেঞ্জ। ঠিক ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে এই পাথরের স্তুপ থেকে লুকিয়ে থাকা মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে হবে। চ্যালেঞ্জটা যে খুব শক্ত তেমনটা বলা যাবে না তবে ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে চ্যালেঞ্জটি সমাধান করার জন্য সত্যিই ছবিতে ভালো মতো মনোনিবেশ করতে হবে। প্রস্তুত হয়ে নেয়া যাক তাহলে।



সময় শুরু হচ্ছে এখন। ছবির ধাঁধা বা অপটিক্যাল ইলিউশন চ্যালেঞ্জের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মানুষের মস্তিষ্ককে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যায়াম প্রদান করা এবং একই সঙ্গে মজাও দেওয়া। কিন্তু এখনো লুকানো মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়নি? একটা ক্লু দিচ্ছি, তারপর আবার চেষ্টা করুন।মেয়েটির পরনে রয়েছে বেগুনি রঙের জাম্পার। এবার কি মেয়েটিকে সনাক্ত করা গেল ? ছবিটা আরো একবার দেখা যাক। ক্লু-র সঙ্গে মেলে এমন কোন রঙ চোখে পড়ছে কি? ঘড়ির কাঁটা কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। ভালো পর্যবেক্ষণের দক্ষতা থাকলে ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে দেখে ফেলা যেতে পারে। তবে যারা প্রথমবার চেষ্টা করছেন তাদের এটিকে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। তবুও, এটি পর্যবেক্ষণ দক্ষতাকে অনেকটাই উন্নত করতে সাহায্য করবে।


কয়জন লুকানো মেয়ে খুঁজে পেলেন? সময় শেষ! যারা মেয়েটিকে খুঁজে পেয়েছেন, তাদেরকে অভিনন্দন। আর যারা এখনো মেয়েটির সন্ধান করে চলেছেন তাদের আর কষ্ট করার দরকার নেই। ছবিটি জুম করলে দেখতে পাওয়া যাবে যে, ছোট্ট মেয়েটি পাথরের উপর থেকে তার হাত নাড়ছে!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.