‘ব্যাঙের ছাতা’ বদলে দিবে দুনিয়া! হাতেনাতে প্রমাণ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
ODD বাংলা ডেস্ক: ‘ব্যাঙের ছাতা’ শুনলেই বাঙালির মনে অবহেলার বস্তু মনে হয়। কিন্তু বৈপ্লবিক আবিষ্কারে এবার ‘ব্যাঙের ছাতা’কে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আবিষ্কারে বিজ্ঞানিরা বলছেন, ‘ব্যাঙের ছাতা’ বদলে দিতে পারে দুনিয়া।
সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জৈবপ্রযুক্তি সংস্থার গবেষকরা দাবি করেছেন, ফ্যাশন দুনিয়া থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন জীবন বদলে দিতে পারে ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুমের চামড়া। এটি এক ধরনের ছত্রাক। ছত্রাকের দেহের একাংশ ‘মাইসেলিয়াম’ নামক একটি সুতোর মতো অংশ নিয়ে গঠিত হয়। এই ‘মাইসেলিয়াম’ ব্যবহার করেই এক প্রকার কৃত্রিম চামড়া তৈরি হয়েছে। যা থেকে বানানো যেতে পারে বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় উপাদান।
গবেষকদের দাবি, গুণগত মানে এই কৃত্রিম চামড়া পশু চামড়ার থেকেও কোনো অংশে কম নয়। পশুর চামড়ার পরিবর্তে এখন ছত্রাকের তৈরি কৃত্রিম চামড়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। যার সুফলও পাওয়া যাবে নানা দিকে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বুননে তো বটেই, স্থায়ীত্বের নিরিখেও সাধারণ চামড়াকে টেক্কা দিতে পারবে ছত্রাকের এই কৃত্রিম চামড়া। এক কথায়, ‘মাইসেলিয়াম চামড়া’ অনেক বেশি টেকসই হবে।
ভবিষ্যতে ‘মাইসেলিয়াম চামড়া’ ব্যবহার কৃত্রিম তন্তু ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের ব্যবহারকে অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলেও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে প্লাস্টিক ঘটিত পরিবেশ দূষণ থেকে বিশ্ব রক্ষা পাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চর্ম শিল্পের নেতিবাচক প্রভাব হলো বায়ুদূষণ। ছত্রাকজাত এই চামড়ার উৎপাদন সেই সম্ভাবনা থেকেও রক্ষা করবে।
‘মাইসেলিয়াম চামড়া’ ব্যবহারে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত এতে কিছু সমস্যা রয়েছে। গবেষকরা জানান, এই ছত্রাকজাত চামড়ার উৎপাদন বেশ ব্যয়বহুল। তাই নামী-দামি কিছু ফ্যাশন সংস্থার মধ্যেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ রয়েছে। আরও গবেষণা করে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
সর্বত্র ব্যবহারে ব্যাপকতা বাড়লে এই আবিষ্কার প্রকৃতই বৈপ্লবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন গবেষকরা।
Post a Comment