গ্যাসের খরচ কমানোর কয়েকটি উপায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: অপ্রয়োজনের গ্যাস খরচ না করাই ভালো। এতে নিজের অর্থ বাঁচে, দেশের সম্পদও রক্ষা হয়।  রাজধানীতে প্রি-পেইড মিটারে বিল পে করে অনেকে রান্নায় গ্যাস ব্যবহার করে থাকেন। গ্যাস বাঁচলে বিল বাঁচলে। একটু সচেতন হলে গ্যাসের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। জেনে নিন উপায়:


>>বাড়িতে ফ্রিজ থাকলে সবজি থেকে খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে সুবিধা হয়। কিন্তু তাড়াহুড়ার সময় ফ্রিজে রাখা খাবার সোজা প্যানে বসিয়ে রান্না শুরু করে দেন অনেকেই। এক্ষেত্রে ঠান্ডা খাবার গরম করতে বেশি গ্যাস খরচ হয়। তাই ফ্রিজের থেকে খাবার সোজা গরম না করে কিছুক্ষণ রয়েছে দিয়ে সেটা রুম টেম্পারেচারে এনে গরম করতে বসলে গ্যাস কিছুটা বেঁচে যায়।


>>বাড়িতে রান্নার জন্য কড়া বা ফ্রাই প্যান ব্যবহার হয় ঠিকই। কিন্তু সামান্য রান্নার জন্য যদি অনেক বড় পাত্র ব্যবহার করা হয় তাহলে গ্যাসের খরচ বেড়েই যায়। তাই রান্নার পরিমাণ বুঝে ছোট বা বড় বাসনপত্রে ব্যবহার করতে পারলে ঝটপট রান্নাও হবে আর গ্যাসের খরচও কমবে।


>>সপ্তাহে এক আধ দিন মাংস রান্না হয়েই থাকে। আর মাংস রান্নার সময় মিডিয়াম আছে ফোটানোর সময় একটি বেশিই গ্যাস খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সবজি বা মাংস রান্নার সময় প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিলে অনেকটাই গ্যাস বেঁচে যায়। একইভাবে মাইক্রোওয়েব ব্যবহার করলেও গ্যাস বেঁচেই যায়।


>> অনেকেই একাধিকবার চা কফি খেতে অভ্যস্ত বা স্নানের জন্যও অনেকেই গরম জল ব্যবহার করেন। বারবার জল গরম করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের খরচ বেড়ে যাবে। তাই পারলে সূর্যের আলোয় জল কিছুটা গরম করে স্নানের জন্য ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে চা কফির জন্য বারবার জল গরম না করে একেবার গরম করে একটি ফ্লাস্কে রেখে দিলেও বার বার ব্যবহার করা যায়।


>> রান্নার সময় সবজি- ভাত-ডাল-খিচুরি যাইহোক জল লাগে। কিন্তু অনেক সময় পরিমাণের থেকে বেশি জল দেওয়া হয়ে যায় যে- সেদ্ধ হতে বেশি সময় লাগে। আর বেশি সময় মানেই বেশি গ্যাস খরচ। তাই রান্নার সময় বুঝে শুনে জল ব্যবহার করলে, বা গরম জল ব্যবহার করলে গ্যাসের খরচ কিছুটা বেঁচে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.