জীবনে এসেছিল একাধিক প্রেম! কীভাবে ইন্দিরা গান্ধী হয়ে উঠলেন মইমুনা বেগম
ODD বাংলা ডেস্ক: ভারতের প্রথম এবং অদ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর জন্ম হয় ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। তাঁর পদবী গান্ধী হলেও তাঁর কিন্তু গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর আবারও ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর হত্যার আগের দিন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
- তাঁর স্বামী ফিরোজ গান্ধী তথা ফিরোজ খান তাঁর এলাহাবাদের পৈতৃক বাড়িতে মদ সরবরাহের কাজ করতেন। তাঁর বাবা ছিলেন নবাব খান। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে একটা প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। ইন্দিরা গান্ধীর বাড়িতে ফিরোজ খানের প্রায় নিত্য যাতায়াত ছিল। তাঁদের এই সম্পর্কের কথা মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল তাঁর বাবাকে তাঁদের সম্পর্কের কথা বলে দিয়েছিলেন।
- ফিরোজের প্রেমে পাগল ইন্দিরা, তাঁকে বিয়ে করার জন্য নিজের নাম পরিবর্তন করে হয়েছিলেন মইমুনা বেগম। লন্ডনে বিয়ে হয় তাঁদের।
- ইংল্যান্ডে তাঁর স্নেহের কন্যা ইন্দিরারা বিয়ের কথা শুনে বাবা জওহরলাল নেহেরু ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। এমনকী বিয়ের পর তাঁদের দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি, কারণ দেশের মানুষ এমন হিন্দু-মুসলিম বিবাহ মেনে নেবেন না। আর তাতে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সেইকারণেই তিনি পরিকল্পনা করে ফিরোজ খানকে একটি হলফনামায় স্বাক্ষর করে নিজের নাম ফিরোজ গান্ধী করে নিতে বলেন। এরপর জওহরলাল নেহেরু তাঁদের আবার বিয়ে দেন।
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর খারাপ ফলের জন্য তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এরপর জওহরলাল নেহেরু তাঁকে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে শিক্ষাদান করতেন।
- তবে জীবনে একবার নয়, বারবার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। শান্তিনিকেতনে তাঁকে ইংরেজি শেখাতেন যে জার্মান শিক্ষক, তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এরপর তাঁর সম্পর্ক হয় তাঁর বাবার সেক্রেটারি এম ও মাথাই-এর সঙ্গে।
- এরপর তিনি তাঁর ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারীর প্রতি আকৃষ্ট হন। এরপর তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ সিংহের সঙ্গে। আর এইসব চমকপ্রদ খবর ক্যাথরিন ফ্র্যাঙ্ক তাঁর 'দ্য লাইফ অব ইন্দিরা নেহেরু গান্ধী' বইতে লিখেছেন।
Post a Comment