ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এলে তাঁর প্রসঙ্গ উঠবেই, ফিরে দেখা সেই যোগীন্দর শর্মা-কে

ODD বাংলা ডেস্ক: ইনি কোনও স্টার প্লেয়ার নন। নেই এক ঝাঁক স্মরণীয় কোনও পারফরম্যান্সের তালিকাও। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এলে তাঁর প্রসঙ্গ উঠবেই। কারণ, ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষ ওভারে ম্যাচের নায়ক হয়েছিলেন যোগীন্দর শর্মা।

মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে তরুণ দল পাঠানো হয়েছিল উদ্বোধনী টি-২০ বিশ্বকাপে। খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না। তবে একের পর এক অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বোল আউটে জয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে যুবরাজ সিংয়ের ছয় ছক্কা। প্রত্যাশাও বেড়েছে। টুর্নামেন্টের সব ভালো পারফরম্যান্স পূর্ণতা পেয়েছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর। সেই লাস্ট ওভারও ছিল নাটকীয়। পাকিস্তানের চাই ১৩ রান। শেষ ওভারে যোগীন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দেন ধোনি। তাঁর এক্সপ্রেস গতি নেই। সুইং কিছুটা। কিন্তু ২০তম ওভারে বল সুইং করবে! এমনটা কেই বা প্রত্যাশা করবে। এখানেই অবাক হওয়ার পালা। প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। সেটি কিন্তু ইচ্ছাকৃত ছিল না।

যোগীন্দর বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পরিকল্পনা ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে বল রাখার। যোগীন্দরও তাই করেছিলেন। সুইং বেশি হওয়াতেই ওয়াইড। শেষ ওভারে সুইং দেখে অবাক হয়েছিলেন যোগীন্দরও। অনেকে ভেবেছিলেন, স্নায়ুর চাপে ভুগছেন বোলার…। দ্বিতীয় বলে মিসবা উল হক ছয় মারতেই ম্যাচের রং পাল্টে যায়। অঙ্ক দাঁড়ায় ৪ বলে ৬ রান। বাকি মাত্র ১ উইকেট। এখান থেকে ম্যাচ জয়, ভারতের জন্য কঠিন ছিল। অফ স্টাম্প নয়, তৃতীয় ডেলিভারি করলেন উইকেট সোজা। মিসবা শর্ট ফাইন লেগের উপর দিয়ে স্কুপ শট খেলতে চেয়েছিলেন। যদিও বল উপরে ওঠে এবং শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন শ্রীসন্থ।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এলে যোগীন্দর শর্মা এবং তাঁর সেই ওভার ভীষণরকম প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। তবে এখন ক্রিকেট ছাড়লেও পুরোপুরি ছাড়েননি। সম্প্রতি লেজেন্ড লিগ ক্রিকেটেও খেলেছেন যোগীন্দর। তবে ক্রিকেট আর তাঁর প্রফেশন নয়। প্যাশন থেকে দূরে থাকা যায় না। বর্তমানে তিনি হরিয়ানা পুলিশে ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ড পদে রয়েছেন ভারতের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, ট্রফি খরা কাটুক এ বার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.