বাংলার পরে বলিউডে বিনোদিনী, রুক্মিণীর পরে সুজিত সরকারের ‘নটী’ কঙ্গনা রানাউত
ODD বাংলা ডেস্ক: বলিউডে নটীকে রুপোলি পর্দায় তুলে ধরছেন ‘পরিণীতা’-খ্যাত সুজিত সরকার। হিন্দিতে এই চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনা রানাউতকে।
বিনোদিনী তুমি কার? এই প্রশ্ন ঘুরছে বাংলা এবং বলিউডে। কারণ, দুই বিনোদন দুনিয়াতেই জমিয়ে রাজত্ব করতে আসছেন গিরীশ ঘোষের প্রিয় শিষ্যা। বাংলায় নটী বিনোদিনীকে একুশ শতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। বুধবারের টাটকা খবর, বলিউডে নটীকে রুপোলি পর্দায় তুলে ধরছেন ‘পরিণীতা’-খ্যাত সুজিত সরকার। রামকমলের ‘বিনোদিনী’ রুক্মিণী মৈত্র। ছবিটি নিবেদন করবেন দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স। পুজোর আগে তাঁর ‘বিনোদিনী’ লুক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ বার হিন্দিতে একই চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনা রানাউতকে।
ইন্দিরা গান্ধির পরে কঙ্গনাকে আরও এক ঐতিহাসিক চরিত্রে কতটা মানাবে? বুধবার ছবির কথা ঘোষণা হতেই কৌতূহলে নড়ে বসেছেন বাংলা এবং বলিউড। কৌতূহলের আরও একটা বড় কারণ, এই চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম। গুঞ্জন, তাঁকে নাকি সুজিত বিনোদিনী হিসেবে বেছেছিলেন। ছবির কথা ঘোষণা হতেই নতুন কাজ নিয়ে উত্তেজিত কঙ্গনা একটি বিবৃতিতে জানান, “আমি প্রদীপ সরকারের কাজের গুণমুগ্ধ। তাই এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি। পরপর দু’টি বিশাল মাপের ঐতিহাসিক চরিত্রে কাজ করছি। আশা করি, দর্শকদের পছন্দ হবে।” ছবির কাহিনীকার প্রকাশ কাপাডিয়া। প্রকাশ এর আগে হিট ছবি ‘তানাজি’, ‘পদ্মাবৎ’, ‘দেবদাস’ এবং ‘ব্ল্যাক’-এর মতো ছবির কাহিনী লিখেছেন।
এ দিকে কঙ্গনার ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছে, এ বছরে ‘ইমারজেন্সি’র শ্যুট শেষ করবেন অভিনেত্রী। এই ছবিতেই তিনি ইন্দিরা গান্ধি। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির পরিচালকও তিনি। নতুন বছরে কঙ্গনা নতুন চরিত্র হয়ে ধরা দেবেন ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ, আগামি বছরে সুজিত সরকারের ‘বিনোদিনী’র শ্যুট শুরু হবে। অভিনেত্রীও তিলে তিলে হয়ে উঠবেন নটী বিনোদিনী। ইতিহাস অনুযায়ী, গিরিশ চন্দ্রের শিষ্যার মা পেশায় যৌনকর্মী ছিলেন। নটীর বেড়ে ওঠা তাই শোভাবাজার, বিডন স্ট্রিট এলাকার নিষিদ্ধ পল্লিতে। মাত্র ১২ বছর বয়সে কলকাতার ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৮৭৪ সালে গিরিশ ঘোষের পরামর্শে মঞ্চে পা রাখেন। এক যুগ অভিনয় দুনিয়ায় থাকার পরে ২৪ বছর বয়সে অভিনয় দুনিয়াকে বিদায় জানান তিনি।
১২ বছরের অভিনয় জীবনে বিনোদিনী ৮০টিরও বেশি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যার মধ্যে ‘শ্রী চৈতন্য দেব’, ‘প্রমীলা’, ‘সীতা’, ‘দ্রৌপদী’, ‘রাধা’, ‘আয়েশা’, ‘কৈকেয়ী’, ‘মতিবিবি’ এবং কপালকুন্ডলার মতো ঐতিহাসিক চরিত্র ছিল। শোনা যায়, শ্রী রামকৃষ্ণ দেব ১৮৮৪-তে গিরিশ ঘোষের একটি নাটকে অংশ নেন। সেই নাটকে সম্ভবত বিনোদিনীও ছিলেন। নটীর ‘শ্রী চৈতন্য দেব’ রূপ দেখে ভাবসমাধি ঘটেছিল তাঁর। মাত্র ৪১ বছর বয়সে বিনোদিনীর মৃত্যু হয়।
Post a Comment