বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান? কী কী করতে হবে বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিন

 


ODD বাংলা ডেস্ক:খেলা খেলে বুদ্ধি ও স্মৃতি বাড়ানোর চেয়ে ভালো খবর আর কী হতে পারে! আর এ এমন সব খেলা যা যেখানে সেখানে খেলা যায়। একা খেলা যায়, খেলা যায় বাড়ির লোকের সঙ্গে। বন্ধুর সঙ্গে খেলা যায়, খেলা যায় অন লাইনেও।


খেলাও সব রকমারি। একেক খেলায় ব্রেনের একেক অংশ উদ্দীপিত হয়।কাজেই দু তিন রকম খেলা মিলিয়ে মিশিয়ে খেললে বেশি ভালো কাজ হয়।

​মেমরি গেম


সময়েরও একটা ভূমিকা আছে। যত বেশি সময় এতে মগ্ন থাকা যায়, তত ভাল।তবে নাওয়া খাওয়া, শারীরিক করসত ভুলে দিবারাত্রি এতে মগ্ন থাকলেও আবার বিপদ। কারণ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে সঠিক খাবার খাওয়া ও ব্যায়ামেরও ভূমিকা আছে।


​ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই


যত বেশি দৌঁড়ঝাপ, তত শরীরে ও ব্রেনে রক্ত সঞ্চালন, তত বেশি সুস্থতা। এ কথা আজ প্রমাণিত যে স্মৃতি বাড়াতে, বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে এ্যারবিক্স বা দৌড়ঝাঁপের ব্যায়াম ও যোগা – মেডিটেশনের কোনো তুলনা নেই। কাজেই ছোট থেকেই সন্তানকে বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত করে দিন। সবসময় প্রতিযোগিতামূলক খেলা নয়, মনের আনন্দে খেলা, যাতে মানসিক চাপ কম থাকে। মানসিক চাপ কম থাকলেও ব্রেনের বিকাশ ভালো হয় বলে জানা গিয়েছে।


​সঠিক খাবার খাওয়ান



সুষম খাবার পেট ভরে খাওয়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি বিশেষ খাবার খাওয়ান। যেমন --


সবুজ শাক সবচেয়ে অপছন্দের খাবার, সন্দেহ নেই। কিন্তু এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ব্রেন ও শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে শাক খাওয়াতেই হবে। বিশেষ করে পালং, ধনেপাতা, পুদিনা, সর্ষে শাক, লেটুস, বিটশাক ইত্যাদি। ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে ইত্যাদির গুনে ব্রেনের বৃদ্ধি ভাল হবে। ভালো থাকবে সাধারণ স্বাস্থ্য।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন খনিজ, ফাইবারের গুনে সমৃদ্ধ হবে শরীর। রোজ নিয়ম করে পালক পনির, সর্ষে শাক ভাজা, পুদিনার সরবত, লেটুসের স্যালাড, ধনেপাতার চাটনি ইত্যাদির মধ্যে থেকে বেছে কোনো না কোনোটা খাওয়ান বাচ্চাকে। বিভিন্ন রান্নায় ধনেপাতা মেশান।

এনার্জি ও পুষ্টি জোগাতে রোজ কোনো না কোনো বাদাম ও বীজ খাওয়ান। আখরোট, আমন্ড, কাজু, পেস্তা। চিয়া – কুমড়ো – সূর্যমুখী - তিসির বীজ বা তিল।ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও নানা রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যোগানে বাচ্চার স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়বে, বাড়বে চিন্তাভাবনার দক্ষতা।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ডিএইচএ নামে উপকারি ফ্যাটের যোগান পেতে খাওয়ান গোটা ডিম। ব্রেন ও স্নায়ুর কোষের গঠনে এদের বিশেষ ভূমিকা আছে। স্মৃতিশক্তি ও কোনো কিছু শেখার দক্ষতা বাড়াতে মাছও খাওয়ান নিয়মিত।

প্রসেস করা বাজারি খাবার বেশি না খাওয়ানোই ভালো। কারণ এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা সাধারণ স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খারাপ, খারাপ ব্রেনের জন্যও। বুদ্ধি ও স্মৃতির জন্যও।

​ভালো করে ঘুমোতে দিন


স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার জন্য, তাকে উন্নত করার জন্য ছোট বাচ্চাদের দিনে ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দরকার ঘুমের নিয়ম, সঠিক রুটিন। ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট সময় যেন থাকে এবং এমনভাবে তা স্থির করতে হয় যাতে স্কুলে পড়তে যাওয়ার আগে ব্রেন একদম তরতাজা থাকে। ছোট বাচ্চাদের দুপুরেও অল্প ঘুমিয়ে নেওয়া দরকার। দেখা গেছে দুপুরে যে সমস্ত বাচ্চা ঘুমিয়ে নেয় তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের চেয়ে কিছুটা বাড়ে।


বাচ্চাকে কোনও ব্যাপারে বেশি চাপ দেবেন না


ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার চাপ যেন না থাকে। খুব বেশি প্রতিযোগিতার মধ্যেও ফেলে দেবেন না। এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যাতে সে হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে। ব্রেনের ক্ষতি হয় তাতে। কারণ প্রতিটি বাচ্চা তার নিজের মতো করে শেখে। তাকে সে সুযোগ দিন। সে কী পড়ছে, কেন পড়ছে সে সব জেনে বুঝে যাতে সে পড়তে ও শিখতে পারে সেরকম পরিবেশ তৈরি করুন। তাহলে আর মুখস্থ করে পড়া মনে রাখতে হবে না, এমনিই মনে থেকে যাবে। স্মৃতিশক্তি তো বাড়বেই বাড়বে চিন্তাশক্তিও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.