কেন দশমীকে 'বিজয়া' বলা হয়, দিনটিকে ঘিরে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনির প্রচলন

ODD বাংলা ডেস্ক: চারদিন বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর ঘরে ফিরে গেলেন ঊমা। মর্ত্যবাসীকে সুখী করে চার সন্তান নিয়ে আবার মা ফিরে গেলেন কৈলাসে। আর এইদিনটিকেই বিজয়া দশমী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পরে আসে এই দশমী। তবে দশমীকে কেন বিজয়া দশমী বলা হয়?- এই প্রশ্ন নিশ্চয় মনের ভেতর ঘুরপাক খায়। তবে দশমীকে বিজয়া নামে চিহ্নিত করার কারণের নেপথ্যে কিন্তু রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনি।

পৌরাণিক গাঁথায় মহিষাসুর বধের কাহিনিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, মহিষাসুরের সঙ্গে টানা নয় দিন নয় রাত যুদ্ধের পরে এই দশম দিনেই মহিষাসুরকে বধ করে বিজয়ী হন দেবী দুর্গা। সেই থেকেই পালিত হয় বিজয়া দশমী। পাশাপাশি শ্রী শ্রী চণ্ডী কাহিনি অনুসারে, আস্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে মা আবির্ভূত হন এবং মহিষাসুরকে বধ করেন শুক্লা দশমীতে। সেই থেকেই দেবীর বিজয়কে চিহ্নিত করেই পালিত হয় বিজয়া দশমী।

পাশাপাশি বাল্মিকীর রামায়ণে কথিত রয়েছে, এই আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতেই দশানন রাবণকে বধ করেন শ্রী রামচন্দ্র। আর এই 'দশেরা', যা আদতে সংষ্কৃত দশহর থেকে এসেছে, সেই রামণের মৃ্ত্যকেই দশেরা হিসাবে উদযাপিত হয়। সেই উপলক্ষ্যেই উত্তর এবং মধ্যভারতে এই দশেরা খুব বড় করে পালন করা হয়। পাশপাশি, তুলসীদেসার রামচরিতমানস বা কালিদাসের রঘুবংশ-এ বলা হয়েছে, রাবণকে বধ করার পর আশ্বিন মাসের এই তিরিশতম দিনেই রামচন্দ্র সীতা এবং লক্ষণকে নিয়ে অযোধ্যা ফিরে গিয়েছিলেন। আর এই বিজয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যেই দীপাবলি এবং দশেরা পালন করা হয়। এই নানা কাহিনিকে ঘিরেই দশমীকে বিজয়া হিসাবে সূচিত করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.