কালীপুজোর রাতে হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো, জানুন এই দিনের গুরুত্ব
সাধারণত ধনতেরস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিওয়ালি উৎসবের সূচনা হয়। বাঙালির দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনেই ১৪ বছরের বনবাস সেরে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। প্রিয় রাজাকে ফেরত পেয়ে দীপ জ্বেলে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলেছিলেন সাধারণ মানুষ। আয় এবং সমৃ্দ্ধির কামনা করে অনেকেই এই দিনে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা করেন। তবে শুধু লক্ষ্মী-গণেশ বন্দনাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনে বিশ্বাসভেদে অন্যান্য দেবতারও আরাধনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে সবার প্রথমে বাংলার কথা বলা যায়।
জৈন মতে, আবার মহাবীর দীপাবলির দিনই মোক্ষ লাভ করেছিলেন।দিওয়ালির দিনই শিখ সম্প্রদায়ের ষষ্ঠ গুরু হর গোবিন্দ এবং ৫২ জন রাজপুত্র জাহাঙ্গিরের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। শিখরা এই দিনটিকে ‘বন্দি ছোড় দিবস’ হিসেবে পালন করেন।
আর্য সমাজ এই দিনটিকে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুদিন এবং “শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি” হিসেবেও পালন করে।
যে যেভাবেই পালন করুক না কেন, এই দিনটিতে অমঙ্গল নাশ হয়ে মঙ্গল কামনাই করেন সকলে। এবারও তাই প্রার্থনা করবেন সকলে।
Post a Comment