ছটি মাইয়ার আরাধনা করতেন শ্রী রামচন্দ্র, সূর্যদেবের পুজোয় লাগে না কোনও মন্ত্র

ODD বাংলা ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর হবে নাই বা কেন? অন্য সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে মেতে উঠতে বাঙালিরাই সবার সেরা। তবে উৎসবের মরশুম কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রাত পোহালেই ছট পুজো। আর এই ছট পুজোয় মেতে ওঠেন বিহারিরা। কার্তিক মাসে অমাবস্যার পর ষষ্ঠীতে এই পুজো করা হয় থাকে। 

ছট পুজোয় মুলত সূর্য দেবতার আরাধনা করা হয়। সূর্যের বোন হলেন ছটি মাইয়া। ছট পুজোর নিয়ম অনুসারে বিহারি মহিলারা ভাত খেয়ে নিয়ে প্রথমে ১২ ঘণ্টার উপবাস রাখেন। তারপর খাবার খেয়ে নিয়ে আবার ২৪ ঘণ্টা উপবাস রাখেন। তারপর আবার খানিকটা খাবার খেয়ে ফের ৩৬ ঘণ্টা উপবাস রাখেন। এই উপবাস রাখাকালীন কোনও নদী বা জলাশয়ে বা পুকুরে গিয়ে এক বুক জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে সূর্যদেবতার পুজো করেন এবং সূর্যদেতার কাছে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। 

জানেন কি, ছট পুজোর কোনও বিশেষ মন্ত্র হয় না। নিজের মতো করে সূর্যদেবতার কাছে নিজের মনের বাসনা সূর্যদেবতার কাছে জানাতে পারেন। বলা হয়, সূর্যবংশের সন্তান শ্রী রামচন্দ্রও এই ছটপুজো করতেন। ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে আসার সময়ে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং সীতা সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে উপবাস রেখে ব্রত পালন করেন।   

এতো গেল রামায়ণের কথা। অন্যদিকে মহাভারতের গল্প অনুসারে, সূর্যদেব ও কুন্তীর পুত্র হল কর্ণ। কথিত আছে, কর্ণ এই সময় সূর্যালোকে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে দরিদ্রদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন। পাশাপাশি নিজেদের রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য দ্রৌপদী ও পাণ্ডবরাও এই পুজো করেছিলেন বলেও মত রয়েছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.