কোজাগরীতে ‘ইদের চাঁদ’ নুসরত জাহান! রাজ্যবাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছায় সাংসদ



 ODD বাংলা ডেস্ক: কপালে ছোট্ট টিপ। হাল্কা লিপস্টিক আর কাজলে সাংসদ-তারকা অসমান্যা। হাতে মাটির থালায় নানা ফুলের পাপড়ি সাজানো। একই অঙ্গে যেন তিনি কোজাগরী, ইদের চাঁদও।


বিরল দিন! যে পূর্ণিমার চাঁদ লক্ষ্মীর আবাহন জানাবে। সেই চাঁদেই পড়বে ইদের ছায়া। রবিবার একই দিনে ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনা। ইদের পরবও। এমন দিনে রাজ্যবাসীদের উদ্দেশ্যে সর্বধর্মসমন্বয়ের বার্তা দিলেন নুসরত জাহান। জানালেন ইদের শুভেচ্ছা। যে কোনও উৎসবে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই দেখা যায় তাঁকে। পরধর্মসহিষ্ণুতার কথাই বলেন তিনি। এ দিনেও নুসরতের সেই মনোভাবে কোনও বদল ঘটেনি।


এর আগে বহু বার তিনি জানিয়েছেন, তিনি সব ধর্মের প্রতি সমান সহিষ্ণু। সব ধর্মকেই সম্মান করেন তিনি। তাই রথের দিন রশিতে টান দেন। জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে পুজো দেন। দুর্গাপুজোয় ঢাক বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। অঞ্জলিও দেন অনায়াসেই। আবার দশমীতে হিন্দু রমণীর মতোই সিঁদুরখেলায় মাতেন। সেই নুসরত এ দিন মেতেছিলেন মুসলিম ধর্মের বিশেষ পরবে।


এ দিন শাড়ি নয়, তিনি সুন্দরী পেস্তা সবুজ আর সাদার মিলমিশে তৈরি লেহেঙ্গা-চোলিতে। কাঁধছোঁয়া রুপোর ঝুমকো। পিঠ ছাপানো খোলা চুল। কপালে ছোট্ট টিপ। হাল্কা লিপস্টিক আর কাজলে সাংসদ-তারকা অসমান্যা। হাতে মাটির থালায় নানা ফুলের পাপড়ি সাজানো। একই অঙ্গে যেন তিনি কোজাগরী, ইদের চাঁদও। এ ভাবেই এ দিন তিনি অনুরাগীদের সামনে। এর আগে সংবাদমাধ্যমে নুসরত জানিয়েছেন, তিনি এবং যশ দাশগুপ্ত সব ধর্ম মানেন, সম্মান করেন। তাই তাঁদের দুই সন্তান হিন্দু না মুসলিম— কোন ধর্ম পালন করবে? তাই নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামান না। পুরোটাই তাঁরা ছেড়ে দেবেন ছেলেদের উপরে। তারা বড় হয়ে যা ভাল বুঝবে সেটাই করবে। নুসরত এও বলেন, তাঁর সন্তান সর্বধর্মসমন্বয়ের জীবন্ত উদাহরণ। 


গত দু’বছর দুর্গাপুজো ম্লান করোনা কারণে। এ বছর সুদে আসলে উশুল করে নিয়েছে বঙ্গবাসী। সেই উৎসবের জোয়ারে মেতেছিলেন নুসরত-যশও। মহাষ্টমীর দিন পুজোর জমাটি আড্ডার আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। খাওয়াদাওয়া, আড্ডা— কিচ্ছু বাদ ছিল না। যশ-নুসরতের অষ্টমীর পার্টিতে এসেছিলেন শ্রাবন্তীর চর্চিত প্রেমিক অভিরূপ নাগচৌধুরী। বহু দিন পরে নুসরতের বাড়িতে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। হাতাকাটা ব্লাউজ। সঙ্গে গোলাপি রঙের জর্জেট শাড়ি। ছিপছিপে শুভশ্রী আগের মতোই ঝকঝকে। বাদ যাননি ‘বোনুয়া’ মিমি চক্রবর্তী, পার্নো মিত্রও। মহাষ্টমীতে পুরনো ‘গার্লস গ্যাং’ যেন ফের স্বমহিমায়। এ দিন যশ-নুসরতের পোশাকের রঙে মিশে গিয়েছিল রাতের অন্ধকারের মতোই গাঢ় কালো রং।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.