উৎসবের আবহে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা মহামারি, এল কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট
ODD বাংলা ডেস্ক: আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের মানুষের কাছে আতঙ্কের আবহ তৈরি করে রেখেছে করোনা ভাইরাস। কত মানুষ তাঁর প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এই মারণ রোগে। তবে গত কয়েক মাসে করোনার বাড়বাড়ন্ত একটু কমায় জনজীবন আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। এরই মধ্যে ফের লাল চোখ দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস।
ওমিক্রনের একেবারে সাম্প্রতিকতম সাব-ভ্যারিয়্যান্ট BF.7 এবং BA.5.1.7-এর খোঁজ মিলেছে। কিছু দিন আগেই চিনের একাংশে এই দুটি সাব-ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর মধ্যে অত্যন্ত সংক্রমণ প্রবণ BF.7-এর সন্ধান মিলেছে ভারতে।
ওমিক্রন BF.7 কী? উত্তর-পশ্চিম চীনের মঙ্গোলিয়ায় ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর খোঁজ মিলেছে। 'Omicron spawn' নামেও পরিচিত এই ভ্যারিয়েন্টটি। দেখতে দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়াম-সহ আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টটি। বর্তমানে BF.7 সাব-ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ভারতেও, এমনটাই জানাচ্ছে গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের BF.7 এবং BA.5.1.7 ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। চীনে সম্প্রতি কোভিড গ্রাফ বৃদ্ধির মূল কারণও এই দুই ভ্যারিয়েন্ট।
BA.5.1.7 এবং BF.7-এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি গবেষকদের মতানুসারে, অতীতে করোনা-সংক্রমণ হয়ে থাকলেও এই নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্টের আক্রমণ থেকে রেহাই নাও মিলতে পারে। অর্থাৎ করোনা টিকা নেওয়ার পর বা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকাতে পারবে না, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও সংক্রমিত করতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট।
Omicron BF.7-এর সাধারণ লক্ষণগুলি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই, যেমন - গলা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি, কাশি এবং নাক দিয়ে জল পড়া, ইত্যাদি।
Post a Comment