পেন্সিল প্যান্টে দেখতে লাগবে স্মার্ট ও ফ্যাশনেবল

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নারীর পোশাক ফ্যাশনে অনেক বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘সিগারেট প্যান্ট’। এটিকে কেউ কেউ বলে থাকেন পেন্সিল প্যান্ট।  অফিস গোয়িং নারীদের কাছে এটি ফরমাল পোশাক হিসেবে সমাদৃত। আবার টিনএজ-দের কাছেও আকর্ষণীয়।

এই পেন্সিল প্যান্ট- ট্রাউজার বা চুরিদারের মতো নয়। এটি পায়ের গোড়ালির কাছে পুরো আটকে থাকে না। বরং হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ‘স্ট্রেইট’ হয়ে থাকে।


জানা যায়, হাল ফ্যাশনে জনপ্রিয়তা পেলেও মূলত এই প্যান্টের প্রচলন ছিল ১৯৫০ সালের দিকে। পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় তারকা মেরেলিন মনরো, এলভিস প্রিসলি এই পাজামা ব্যবহার করতেন। সেই থেকে শুরু করে সান্ড্রা ডি এই সিগারেট প্যান্টকে লাইমলাইটে নিয়ে আসেন। আর ফ্যাশনের পুরাতন ধারাকে ফিরিয়ে এনে ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে এই প্যান্ট। নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এই প্যান্টের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে নারীদের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা বেশি।


নানান রং , প্রিন্ট ও প্যাটার্ন-এর এই প্যান্টের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আরামদায়ক এই প্যান্টগুলো শার্ট বা শর্ট টপসের পাশাপাশি ঢোলাঢালা কুর্তির সঙ্গেও মানিয়ে যায় এই প্যান্ট।


ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিগারেট প্যান্ট কেনার সময় মাপমতো কেনা জরুরি। কারণ কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত সঠিক মাপমতো প্যান্ট বেছে নেয়া না হলে দেখতে বেমানান লাগে। তাছাড়া মাপমতো না হলে ওঠা-বসা করতেও সমস্যা হবে। সিগারেট প্যান্টের ওপরের দিকটি একটু ঢিলেঢালা হয়। নিচের দিকে মুহুরিটাও একটু চওড়া থাকে। সিগারেট প্যান্ট তুলনামূলক কম লম্বা। এই প্যান্টগুলো নিচের দিকে কিছুটা উঠানো থাকে। সুতরাং গোড়ালির নিচে না গিয়ে উপর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে এই প্যান্ট তৈরি করা বা কেনা প্রয়োজন। যাদের উচ্চতা কিছুটা কম তাদের উচিত কিছুটা খাটো প্যান্ট বেছে নেয়া। এর সঙ্গে পরা যেতে পারে হাইহিল। দেখতে বেশ স্মার্ট এবং ফ্যাশনেবল লাগবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.