মহাভারত যুদ্ধের আগে কার্তিক মাস এমনই ২টি গ্রহণের যোগের সৃষ্টি হয়েছিল, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জ্যোতিষ মহলে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মহাভারতের যুদ্ধের আগে কার্তিক মাসেও ঠিক একই রকম মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে  ২টি গ্রহনের যোগ তৈরি হয়েছিল। এরপর যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়। তবে কি এবারও মহাভারত যুদ্ধের মতো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে চলেছে? 


এবার কার্তিক মাস এসেছে অনেক শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে। এই মাসে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে  ২টি গ্রহনের যোগ রয়েছে। মহাভারতের যুদ্ধের আগে কার্তিক মাসেও ঠিক একই রকম ঘটনা এই যোগ ঘটেছিল। এরপর যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়। তবে কি এবারও মহাভারত যুদ্ধের মতো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে চলেছে? 

জ্যোতিষশাস্ত্রের এই বিষয় নিয়ে নানান মহলে এ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। আসুন জেনে নিই ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২২ সালের সূর্যগ্রহণে বিশেষ কী ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


২৫ অক্টোবর সকাল ১১ টা বেজে ২৮ মিনিট থেকে গ্রহণ হবে

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এই বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর ঘটবে। ভারতে, এই গ্রহণ শুরু হবে ২৫ অক্টোবর সকাল ১১ টা বেজে ২৮ মিনিটে, প্রায় ৭ ঘন্টা ৫ মিনিট থাকবে। এর পর বিকাল ৫ টা বেজে ২৪ মিনিটে এই গ্রহণ শেষ হবে। এর ১২ ঘন্টা আগে অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর রাত ১১ টা বেজে ২৮ মিনিটে সূতক পর্ব শুরু হবে। এই কারণে দীপাবলির পরের দিনটি গোবর্ধন পূজার পরিবর্তে সূর্যগ্রহণের সূতক সময়ে কাটবে।


সূর্যের ৪৪ শতাংশ প্রভাবিত হবে অর্থাৎ এই গ্রহণ আংশিক সূর্য গগ্রহণ হবে। জ্যোতিষীদের মতে, উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়া বাকি ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এই বছরের সূর্যগ্রহণ হবে। সূর্য, চন্দ্র, শুক্র এবং কেতুর মিলনে। এই সূর্যগ্রহণ কানহা শহরের মথুরায় ২৫ অক্টোবর বিকেল ৪ টা বেজে ৩২ মিনিটে শুরু হবে এবং বিকাল ৫ টা বেজে ৪২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যাস্তও ঘটবে। এই গ্রহন মথুরা নগরীতে ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এবার সূর্যগ্রহণের ৪৪ শতাংশ প্রভাবিত হবে।


বড় দুর্ঘটনা হতে পারে-

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এই বছর কার্তিক ১৫ মাসে ১৫ দিনের ব্যবধানে দুটি গ্রহন হচ্ছে। যেখানে ২৫ অক্টোবর একটি সূর্যগ্রহণ হবে, সেখানে ৮ নভেম্বর একটি চন্দ্রগ্রহণ হবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই চন্দ্রগ্রহণ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১.৩২ মিনিট থেকে ৭.২৭ মিনিট পর্যন্ত হবে। মহাভারত যুদ্ধের আগে, কার্তিক মাসে, একই রকম দুটি গ্রহন হয়েছিল, তার পরে একটি ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল, যাতে উভয় পক্ষের লক্ষাধিক সৈন্য নিহত হয়েছিল। এই দুটি গ্রহন কি এবারও কোনও অশুভ লক্ষণের জানান দিচ্ছে? এই নিয়ে জ্যোতিষীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.