হিজাব পরার অধিকার- সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হিজাব পরার অধিকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত। খণ্ডিত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। আর সেই কারণে এবার হিজাব মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টেরই উচ্চতর বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার হিজাব মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে


হিজাব পরার অধিকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত। খণ্ডিত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। আর সেই কারণে এবার হিজাব মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টেরই উচ্চতর বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার হিজাব মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে। 


গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট হিজাব পরার অধিকার মামলায় রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল হিজাব পরারে ধর্মীয় আচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল হত ২২ সেপ্টেম্বর। এই বিষয়ে নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। কিন্তু এদিন হিজাব পরার অধিকার মামলায় কিছুতেই একমত হতে পারেননি দুই বিচারপতি। এবার কর্নাটক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলটি একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে রাখা হয়েছে। 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানিয়ে কর্নাটকের রায়ের বিরুদ্ধ করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি হিমন্ত গুপ্তা। হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে একমত হয়ে তিনি বলেন এখানে মেতর সঙ্গে ভিন্নতা রয়েছে। অন্যদিকে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেছেন, 'আমাদের ভিন্ন মত রয়েছে আমি আপিলের অনুমতি দিচ্ছে।'কারণ তিনি সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। তাঁর কথায় এটি শেষ পর্যন্ত পছন্দের বিষয় তার অন্যথা কিছু নয়। 


সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব চলাকালীন আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাস করতে বাধা দেওয়া হলে তা সমাজের পক্ষে ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ মুলসিম মেয়েদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধ হতে পারে। তাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংকটে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল কলেজগুলিতে সাম্য, অখণ্ডতা, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এক শ্রেণির হিজাব পরে ক্লাস করা। মুসলিমদের হিজাব পরার অধিকার থাকলে হিন্দুদের সেজাতীয় অধিকার দিতে হবে। হিজাবকে টাকা টিপ ও পাগড়ির সঙ্গেও তুলনা করেছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কর্নাটক সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা ধর্ম নিরপেক্ষ। তবে কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে রীতিমত আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.