বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার 'নিক্সন' এর প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে কিম জং-ইয়ুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনলাইন ভিডিও গেম কোম্পানি 'নিক্সন' এর দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত কিম জং-জুর টিনেজ মেয়ে কিম জং-ইয়ুন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাবার মৃত্যুর পর তার সম্পদের মালিক হয়েছেন কিম জং-ইয়ুন। আর তাতেই নতুন করে এ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।


কিম জং-ইয়ুন এবং তার বড় বোন জং-মিন তাদের বাবার ব্যক্তিগত হোল্ডিং কোম্পানি 'এনএক্সসি'র এর মোট শেয়ারের ৩০.৭৮ শতাংশ করে লাভ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এনএক্সসি জাপানের নিক্সন কোম্পানির সর্ববৃহৎ শেয়ারহোল্ডার। প্রতিষ্ঠানটিতে এনএক্সসি'র শেয়ারের পরিমাণ প্রায় ৪৮ শতাংশ।


দুই বোনের শেয়ার মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে তাদের শেয়ারের পরিমাণ বর্তমানে ২.৫ বিলিয়ন ডলার। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার সম্পত্তির জন্য ট্যাক্স বিল কেটে নেওয়ার পর দুই বোনের প্রত্যেকের নেট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার।


এদিকে, প্রয়াত জং-জু'র স্ত্রী ইয়ু জং-হিউন ইতোমধ্যেই একজন বিলিয়নিয়ার। স্বামীর সূত্রে এনএক্সসি'র ৪.৫৭ শতাংশ শেয়ার লাভ করেছেন তিনি। ৫৩ বছর বয়সী ইয়ু ১৯৯৪ সালে জং-জু'কে নিক্সন প্রতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্যারেন্ট কোম্পানি এনএক্সসিতে ৩৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডারের অবস্থানও ধরে রেখেছিল এই পরিবার। এবছর ৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ৫০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইয়ু।


তবে জং-জুর পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নিক্সনের প্রতিষ্ঠাতার দুই মেয়ে জং-মিন এবং জং-ইয়ুন এর জন্ম যথাক্রমে ২০০২ ও ২০০৪ সালে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জং-ইয়ুন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হওয়ার খেতাব লাভ করেছেন। এর আগে এই খেতাব ছিল জার্মানির কেভিন ডেভিডের দখলে; এ মাসেই যিনি ২০ বছরে পা রেখেছেন।


কেভিনের বাবা গুয়েনথার লেমান জার্মান ড্রাগস্টোর চেইন দ্রোগেরি মার্কত-এ নিজের শেয়ারের অংশ তার ছেলের নামে দিয়ে দেন। যদিও ছেলের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগপর্যন্ত এটি ট্রাস্টিশিপের অধীনে ছিল।


জং-জু বরাবরই গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলতেন। নিক্সনের সদর দপ্তর টোকিওতে অবস্থিত হলেও, তিনি এনএক্সসি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কোরিয়ান উপদ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের একটি দ্বীপ জেজুতে। ২০০৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থেকে অবসর নেন এবং মানবসেবামূলক কর্মকান্ড ও অন্যান্য বিনিয়োগে মনোযোগ দেন। শিশু হাসপাতালে দান করার জন্য গত বছর ফোর্বস এশিয়ার 'ফিফটিন হিরোস অব ফিলানথ্রপি'র একজন মনোনীত হন জং-জু।


এছাড়াও, গত বছর জং-জু দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে স্থান করে নেন। এসময় তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০.৯ বিলিয়ন ডলার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.