দিল্লির সেনা হাসপাতালে সফলভাবে চোখের অস্ত্রোপচার রাষ্ট্রপতির, গত কয়েকমাস ধরেই ভুগছিলেন চোখের সমস্যায়



ODD বাংলা ডেস্ক: চলতি বছরের জুলাই মাসে  রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন  দ্রৌপদী মুর্মু। বয়স হয়েছে ৬৪ বছর। শপথ নেওয়ার আড়াই মাসের মাথায়ই চোখের অস্ত্রোপচার হল তাঁর। 


গত কয়েকমাস ধরেই ভুগছিলেন ছানির সমস্যায়। অবশেষে টানা ভোগান্তির পর চোখে অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। রবিবার দিল্লির সেনা হাসপাতালে চোখে অস্ত্রপচার হয় রাষ্ট্রপতির। সেনার চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই অস্ত্রপচার করেন।  ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় কুমার মিশ্রর নেতৃত্বে ও চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় এই অস্ত্রপচার। রবিবার অস্ত্রপচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনের মুখপাত্রর তরফ থেকে জানানো হয় অস্ত্রপচার সফল হয়েছে এবং রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবশ্য ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, অস্ত্রপচারের পর ভালো আছেন তিনি। 


ঠিক এক বছর আগেই চোখে একই অস্ত্রোপচার হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্ত্রী সবিতা কোবিন্দের । দিল্লির সেনা হাসপাতালেই ব্রিগেডিয়ার মিশ্রর নেতৃত্বেই হয়েছিল সেই অস্ত্রপচার। তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুটেছিল বিশেষ প্রশংসাপত্রও। এই নিয়ে নিজের কর্মজীবনে চতুর্থ বারে জন্য সেনা মেডেল পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও পেয়েছিলেন  একাধিক সামরিক সম্মানও। উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশের লখনউ-এর বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় কুমার মিশ্র। পুনের আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা ও পরে দিল্লির এইমস থেকেও রেটিনা অস্ত্রোপচারের ডিগ্রি নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে লখনউয়ের কমান্ড হাসপাতালে রেটিনা বিভাগ চালু করেছিলেন ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় কুমার মিশ্র। 


প্রসঙ্গত,চলতি বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন  দ্রৌপদী মুর্মু। বয়স হয়েছে ৬৪ বছর। শপথ নেওয়ার আড়াই মাসের মাথায়ই চোখের অস্ত্রোপচার হল তাঁর। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.