'মহারাজা ভোগ' থালি খেতে গিয়ে সর্বশান্ত মহিলা, ২০০ টাকার অনলাইন অর্ডার করে খোয়ালেন লক্ষ লক্ষ টাকা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মাত্র ২০০ টাকায় মহারাজা ভোগ থালি দেখেই লোভে পড়ে খাবার অর্ডার করেন মহিলা। কিন্তু সেই অর্ডারের বিনিময় তাঁকে খোয়াতে হল ব্যাঙ্কে গচ্ছিল ৮ লক্ষেরও বেশি টাকা। প্রতারকদের খুঁজছে পুলিশ।  


মহাভোজ খেতে গিয়ে এক মহিলা সর্বশান্ত হয়ে গেল। নিজের অজান্তেই খোয়াল সর্বস্ব। নতুন ধরনের অনলাইন প্রতারণার শিকার মুম্বইয়ের এক মহিলা। পুলিশ সূত্রের খবর মাত্র ২০০ টাকার বিনিময় মারাজা ভোগ অনলাইনে অর্ডার করেছিল মহিলা। কিন্তু অনলাইনে খাবার কিনতে গিয়ে মহিলাকে হারাতে হল ৮ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে খাবার কিনতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে রীতিমত মাথায় হাত উঠেছে মহিলার। করোনাভাইরাসের মহামারির পর থেকেই অনলাইন কেনাকানার রমরমা। ছোট বড় নামি অনামি আহাজারো একটা সংস্থা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন কেনাকাটার বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। এরকমই একটি বিজ্ঞাপনে ভুলেছিলেন মহিলা। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই মাত্র ২০০ টাকায় 'মহারাজা ভোগ থালি'  অর্ডার করেছিলেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এমন অফার দেখে তিনি রীতিমত উত্তেজিত হয়েই খাবার অর্ডার করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেই সর্বনাস হল মহিলার। 


মহিলা জানিয়েছেন তিনি নিজের মোবাইল ফোন থেকেই খাবার অর্ডার করেছিলেন। মহিলার জানিয়েছেন তিনি খাবার অর্ডার করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ফোন হ্যাক করা হয়। তারপরই তাঁর ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছে মহিলা। 


পুলিশ জানিয়েছে, ৫৪ বছরের মহিলা খাবার অর্ডার দেওয়ার সময় তাঁর ফোনে দূরবর্তী অ্যাক্সেসের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। যেটি ব্যবহার করে একজন  প্রতারক তাঁর ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করেছে। মহিলা তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেই থাকেন। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ছিলে বেশ কিছু সঞ্চয়পত্র এ শেয়ার। 


পুলিশ  আরও জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে তিনি মহারাজ ভোগের থালি অর্ডার করেছিলেন। ফেসবুক দেখেই খাবার অর্ডার করেছিলেন তিনি। বিকেল পাঁচটার দিকে লিঙ্কটি দেখতে পান। তিনি লিঙ্কটিতে ক্লিক করেন। তার ব্যাঙ্কের বিবরণ ও মোবাইল নম্বর পুরণ করতে বলা হয়। তারপর আরও একটি লিঙ্ক আসে। যাতে তাঁকে ডেবিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই প্রতারক তাঁকে রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ জোহো অ্যাসিস্ট ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে, যেটি তার ফোনে পাঠানো এককালীন পাসওয়ার্ড পড়তে ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রতারক এইভাবে সবমিলিয়ে ২৭টি লেনদেন করে তারসঙ্গেয। তারপরই ব্যাঙ্ক থেকে লুটে নেয় ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। 


বৃহস্পতিবার লেনদেনের বিষয়ে টেক্সট ম্যাসেজ আসে বৃহস্পতিবার। সেই ম্যাসেজ দেখেই মহিলার চোখ কপালে ওঠে। তিনি ছুটে যান ব্যাঙ্কে। বৃহস্পতিবারও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪টি লেনদেন হয়েছে। 


ছদ্মবেশে প্রতারণার অভিযোগ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি কম্পিউটার সংস্থান ব্যবহার করে পরিচয় চুরি করে ও প্রতারণার কারণে তথ্য প্রযুক্তি ধারাতেও মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত দোষীদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.