রোমান্স জমছে না? কীসের অভাব জেনে নিন



 ODD বাংলা ডেস্ক: আপনি হয়তো চান- সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক জমে উঠুক, রোমান্সে ভরপুর থাকুক দুজনের কথা-বার্তা আর আচরণ। চাইলেই সব কিছু হয় না। এর জন্য একটি পরিবেশ দরকার। যে পরিবেশটা মনের জন্য ভালো। মন ভালো না রেখে শরীরকে ভালো রাখা যায় না।

মানসিক চাপ মানুষকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রোমান্সের ক্ষেত্রে কত বড় বাধাও এটি। গবেষকরা এমন কথায় জানিয়েছেন। এক গবেষণায় জানা গেছে রোমান্স বাড়ানোর জন্য সঙ্গীর মানসিক চাপ কমানোর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সঙ্গীর মানসিক চাপের বিষয়টি শুধু বুঝলেই হবে না, তা কমাতে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।


>>সঙ্গীর মানসিক চাপ কমানোর জন্য তার মানসিক চাপের কারণ বুঝতে হবে। এছাড়া তার এ মানসিক চাপ কমানোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। 


>> মানসিক চাপ কমানো সম্ভব হলে তা রোমান্টিক সম্পর্ককে আরও বহুদূর নিয়ে যাবে।


>>সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক রোমান্স ও মানসিক চাপ বিষয়ে এ গবেষণাটি করেন। এতে তারা জানিয়েছেন, রোমান্টিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সঙ্গীর মানসিক চাপের কারণ জানতে হবে এবং তা কমানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করতে হবে।


গবেষণার তথ্য: এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারার গবেষক লরেন উইনজেস্কি বলেন, 'যখন মানুষ আবেগগতভাবে সঠিক হয়- সঙ্গীর অনুভূতি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারে- তখন তারা তার উদ্বেগগুলোকে বুঝতে পারে। এতে সঙ্গীর সঙ্গে অধিক একাত্ম হওয়া যায়। তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন হওয়া সম্ভব হয়। '


তিনি আরো বলেন, ‘যখন সঙ্গীর আবেগগত বিষয় নিয়ে সঠিক জ্ঞান থাকলেও তার সঙ্গে একাত্ম হওয়া সম্ভব হবে না তখন তা সেভাবে সমর্থন করা সম্ভব হবে না।’


আর সঙ্গীর মানসিক উদ্বেগ নিয়ে একাত্ম হওয়ার পাশাপাশি তা সমাধানে মানসিকভাবে বোঝাপড়া না থাকলে তা দুজনকেই পুরোপুরি একাত্ম হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতিতে রোমান্স সৃষ্টিতেও ব্যাঘাত হয় বলে জানান গবেষকরা।


গবেষণায় উঠে এসেছে, দুইজনেরর ঈর্ষা, বক্তব্য, মানসিক চাপ ইত্যাদিও তুলে ধরা হয়। প্রত্যেকের কথাবার্তা রেকর্ড করার পর এ বিষয়গুলোর সঙ্গে আবেগত অভিন্নতা ও আবেগগত উদ্বেগ নির্ণয় করা হয়। এছাড়া তাদের কোনো বিষয়ে সঠিক বোঝাপড়া রয়েছে কিনা, তাও নির্ণয় করা হয়।


গবেষকরা জানান, রোমান্স সঠিকভাবে বাড়িয়ে তুলতে উভয়ের মাঝে মানসিক চাপের বিষয়ে সঠিকভাবে বোঝাপড়া হওয়া প্রয়োজন। এ বোঝাপড়া যদি সঠিকভাবে সক্রিয় না থাকে তাহলে তা সমস্যা সমাধানে খুব একটা কার্যকর হবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.