হৃত্বিকের মতো আপনার হাতেও ৬টা আঙুল? নিজেকে চিনে নিন আর একবার
ODD বাংলা ডেস্ক: জ্যোতিষ শাস্ত্রের এই শাখার মাধ্যমে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ তো জানা যায়ই, পাশাপাশি ব্যক্তির অতীত ও বর্তমান সম্পর্কেও ধারণা করা যায়। আবার হস্তরেখা শাস্ত্রের পাশাপাশি সমুদ্র শাস্ত্র ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে তাঁদের স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানিয়ে থাকে। আমাদের হাতে পাঁচটা করে আঙুল থাকে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের হাতে পাঁচটির পরিবর্তে ৬টি আঙুল দেখা যায়। হস্তরেখা শাস্ত্র ও সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী জেনে নেওয়া যাক, যে ব্যক্তির হাতে ৬টি আঙুল রয়েছে, তাঁদের স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব কেমন।
১. হস্তরেখা জ্যোতিষ ও সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকের হাতে ৬টি আঙুল থাকে, তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান।
২. এই ব্যক্তিরা যাঁদের সঙ্গে থাকেন, তাঁদের সবসময় লাভ হয়। যাঁদের হাতে পাঁচটি আঙুল থাকে তাঁদের তুলনায় বেশি কাজ করেন ৬ আঙুল বিশিষ্ট জাতকরা।
৩. অনেকের হাতে কড়ে আঙুলের পাশে ষষ্ঠ আঙুলটি থাকে, আবার কারও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের পাশে ষষ্ঠ আঙুল দেখা যায়। শুধু হাতই নয়, পায়েও পাঁচটির পরিবর্তে ছটি আঙুল থাকতে পারে। শাস্ত্র মতে, যাঁর হাত বা পায়ে কড়ে আঙুলের সঙ্গে ষষ্ঠ আঙুলটি লেগে থাকে, তার ওপর বুধ পর্বতের প্রভাব রয়েছে। আবার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের সঙ্গে ষষ্ঠ আঙুল যুক্ত থাকলে, সেই আঙুলের ওপর শুক্র পর্বতের প্রভাব থাকে। অর্থাৎ হস্তরেখা শাস্ত্রে অতিরিক্ত আঙুলের জন্য পৃথক কোনও পর্বত নেই। এ কারণে হস্তরেখা শাস্ত্র ষষ্ঠ আঙুলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না।
৪. কড়ে আঙুলের পাশে ষষ্ঠ আঙুল থাকলে বুধের আশীর্বাদে সেই জাতক বুদ্ধিমান হন। সাফল্যেপ শীর্ষে পৌঁছন এই জাতক। আবার শুক্র পর্বতের অধিক প্রভাব থাকলে, সেই জাতক জীবনে প্রচুর সুখ-সুবিধা লাভ করেন। এঁদের অর্থাভাব দেখা দেয় না।
৫. হস্তরেখা শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতকদের হাতে ৬টি আঙুল থাকে তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। এমন ব্যক্তি অধিক লাভ অর্জন করতে পারে। এঁরা সমস্ত কাজে তথ্য অনুসন্ধা করেন এবং তার পর সেই কাজে হাত দেন। তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের অধিকারী হন এঁরা। পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে নিজের কাজ পূর্ণ করেন এই জাতকরা।
৬. ভালো বক্তা ও সমালোচক হন ৬ আঙুল বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে অন্যের কাছে সবসময় দোষ-ত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করেন ৬ আঙুল বিশিষ্ট লোকেরা। তাই অন্যের সঙ্গে এঁদের সম্পর্কও নষ্ট হয়।
৭. হস্তরেখা অনুযায়ী হাতের আঙুলের সংখ্যা ব্যক্তির মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই আঙুল ও বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠকে মিলিয়ে পৃথক পৃথক মুদ্রা বানিয়ে ধ্যান করা হয়।
Post a Comment