ধনতেরাস নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
ODD বাংলা ডেস্ক: আগামী ১০ নভেম্বর ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরাস। এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। কেউ বলে দেবী লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়েছিল এই দিন তো কেউ বলে কুবের দেবতার আরাধানার দিন এটি। আজ জেনে নিন ধনতেরাসের এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে কোন কোন কাহিনি।
প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় ধনতেরাস। কালীপুজোর আগের দিন পালিত হয় এই উৎসব। এই দিন সোনা কিংবা বাসনের দোকানে দেখা যায় বহু মানুষের ঢল। কথিত আছে এই দিন সোনা, রূপা, তামা কিংবা কোনও ধাতুর জিনিস কিনলে ঘটে আর্থিক বৃদ্ধি। একসময় এই উৎসব অবাঙালিদের মধ্যে প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে সকলেই গা ভাসান ধনতেরাসের আনন্দে। ধনতেরাসের এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। কেউ বলে দেবী লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়েছিল এই দিন তো কেউ বলে কুবের দেবতার আরাধানার দিন এটি। আজ জেনে নিন ধনতেরাসের এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে কোন কোন কাহিনি।
সমুদ্র মন্থনের কাহিনি উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। শাস্ত্র মতে, সমন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়েছিল। তার সঙ্গে সমুদ্র মন্থনে উঠে এসেছিল নানান দামি রত্ন। কথিত আছে, মুনি দুর্বাসার অঊিশাপে স্বার্গলোক লক্ষ্মীহীন হয়ে যায়। সমুদ্র মন্থের পর দেবী লক্ষ্মীর আবির্ভাব ঘটে। দিনটি ছিল ধনতেরাসের দিন। সে কারণেই দেবী লক্ষ্মী পুজিত হন এই বিশেষ দিনে।
প্রচলিত আছে হিম রাজার কাহিনি। রাজা তাঁর ছেলের কুষ্ঠি বিচার করে জানতে পারেন ১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হবে তার। সে সময় এক জ্যোতিষী বিধান দেন, কোনও ভাগ্যবান রাশির অধিকারী মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিলে সে প্রাণে বেঁচে যেতে পারে। সেই অনুসারে রাজা তাঁর ছেলের বিয়ে দেন। ছেলেটির যেদিন ১৬ বছর বয়স হয়, সেদিন যমরাত সাপের বেশে তাঁকে নিতে আসে। সেই দিন, তাঁর স্ত্রী নিজের সমস্ত গয়না দিয়ে ঘর সাজিয়ে রাখেন ও চারিদিকে প্রদীপ জ্বালান। এতে যমরাজ তাঁর কক্ষে প্রবেশে বাধা পায়। ফলে প্রাণে বেঁচে যায় সে। এই কারণে ধনতেরাসের দিন চারিদিকে প্রদীপ জ্বালানো হয়। এতে স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।
এই দিন মা লক্ষ্মীর সঙ্গে পুজিত হন ভগবান কুবের। শাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী ধন সম্পদ প্রদান করেন আর কুবের দেবতা রক্ষা করেন সেই সম্পত্তি। সে কারণে মা লক্ষ্মীর পুজোর পর কুবের দেবতার পুজো হয়ে থাকে। অনেকে মনে কুবের দেবতার আরাধনা করতেই পালিত হয় ধনতেরাস। ধনতেরাসের এই বিশেষ দিনটি ঘিরে রয়েছে এমনই নানান কাহিনি।
Post a Comment