জুতা পলিশ থেকে রূপচর্চা সব কাজেই লাগে এই জিনিস



 ODD বাংলা ডেস্ক: কলা খেয়ে খোসা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন? জানেন, এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কলার খোসায় লুটেইন থাকে। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, পটাসিয়াম, জিংক, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ। 

>> ব্রণ কমাতে কলার খোসা খুবই উপকারি। কলার খোসা টুকরো করে কেটে নিন। এবার পরিষ্কার মুখে খোসার ভেতরের অংশ হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। যদি দেখেন খোসা কালো হয়ে গেছে তবে আরেকটা টুকরো নিন। এভাবে পুরো মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। পুরোনো ব্রণের দাগও কমায় এটি। সঙ্গে বলিরেখা থেকেও মুক্তি পাবেন। 


>> বাগান বা ব্যালকনির গাছে সার হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। দুইভাবে এটি তৈরি করা সম্ভব। একটা কলার খোসা টুকরা করে এক বোতল জলে ভিজিয়ে রেখে দিন সরাসরি রোদ পড়ে না এমন জায়গায়। বোতলের মুখ অবশ্যই বন্ধ করে রাখবেন। ২-৩ দিন পর এটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে সমপপরিমাণ জল মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। আবার কলার খোসা শুকিয়ে নিয়ে তা গুঁড়া করে নিয়ে সরাসরি দিতে পারেন গাছের মাটিতে। 


>>ঠিকমতো ব্রাশ না করার কারণে অথবা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে দাঁতে হলুদ ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে কলার খোসা সকালে ব্রাশ করার পর দাঁতে ঘষে নিন। ১০ মিনিট রেখে আঙুল দিয়ে ডলে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এভাবে মুখ পরিষ্কার করলেই দেখবেন দাঁত আবার সাদা হয়ে গেছে।


>>পায়ের গোড়ালি ফাটা ঠিক করার জন্যও আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। একইসঙ্গে এটি দিয়ে জুতা পালিশও করে ফেলা সম্ভব। 


>>আঁচিলের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে কলার খোসা দিয়ে সেই স্থানে বসিয়ে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এভাবে পরপর কয়েকদিন করলেই আঁচিল পড়ে যাবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.