ধনতেরসে গোটা ধনের এই উপায় এনে দেবে অর্থ, সাফল্য, খুঁজে পাবেন হারানো মানুষকেও!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আগামী ২৩ অক্টোবর, রবিবার ধনতেরস পালিত হবে। এই তিথিটি ধন ত্রয়োদশী ও ধন্বন্তরি জয়ন্তী নামে পরিচিত। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী এ দিন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির জনক ধন্বন্তরি দেব প্রকট হয়েছিলেন।


পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী এই তিথিতে যখন ধন্বন্তরী দেব সমুদ্র মন্থনের ফলে বেরিয়ে আসেন তখন তাঁর হাতে অমৃত কলশ ছিল। এ কারণে ধনতেরসের দিনে বাসন কেনার বিশেষ প্রথা রয়েছে। এই তিথি থেকেই ৫ দিন ব্যাপী দীপাবলীর সূচনা হয়। সুখ সমৃদ্ধির জন্য ধনতেরসে একাধিক উপায় করা হয়। কোন কোন উপা. জেনে নেওয়া যাক।


ধনতেরসে গোটা ধনের এই উপায়


১. ধনতেরসে গোটা ধনের এই উপায়কে অত্যন্ত লাভজনক মনে করা হয়। এদিন গোটা ধনে কিনে এনে লক্ষ্মী ও ধন্বন্তরীকে অর্পণ করুন। এর পর নিজের মনস্কামনা ব্যক্ত করুন। এর পর বাড়ির কোনও স্থানে মাটির মধ্যে এই ধনে পুঁতে দিন। এর থেকে সামান্য ধনে বাঁচিয়ে একে লাল কাপড়ে বেঁঝে টাকা রাখার স্থানে রেখে দিন। এর ফলে পরিবারে সারা বছর সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।


২. ধনতেরসে গোটা ধনে কিনে দীপাবলীতে লক্ষ্মীকে অর্পণ করুন। বাড়ির বাগানে বা টবের মধ্য়ে কয়েক দানা ধনে পুঁতে দিন। মনে করা হয় এই বীজ থেকে যে পাতা উৎপন্ন হবে তা পরিবারে আনন্দ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।


৩. ধনতেরসে ধন্বন্তরী দেবের সামনে শুকনো ধনে রাখুন। দীপাবলী পর্যন্ত এখানেই রাখতে হবে। গোবর্ধন পুজো অর্থাৎ ভাই ফোঁটার দিনে সেখান থেকে তুলে কোনও টবে পুঁতে দিন। এর থেকে যে ধনে পাতার গাছ বেরোবে তার দেখা শোনা করলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।


৪. কোনও সদস্য বাড়ি থেকে চলে গেলে এবং তাঁর সন্ধান না-পেলে লাল কাপড়ে গোটা ধনে বেঁধে বজরংবলীর মন্দিরে গিয়ে তাঁর চরণে অর্পণ করুন। এর পর হনুমান চালিসা পাঠ করুন। বজরংবলীকে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে সেই ব্যক্তির ফিরে আসার প্রার্থনা জানান। এই উপায়ে উপকার পাবেন।


৫. বহু দিন ধরে কোনও ব্যক্তির কাছে টাকা আটকে থাকলে এই উপায়টি করে দেখতে পারেন। শুক্রবার কাগজে ঋণ নিয়েছেন যে ব্যক্তি তার নাম লিখে তাতে সামান্য শুকনো ধনে রেখে মুড়ে নিন। জলে এটি প্রবাহিত করে দিতে হবে। এই টোটকা করার সময় যাতে কেউ আপনাকে বাধা না-দেয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই উপায়ে আটকে থাকা টাকা পাবেন ও অর্থ আগমনের পথও উন্মুক্ত হবে।


৬. পারিবারিক কলহ লেগেই থাকলে পূর্ব দিকে কিছু শুকনো ধনে রেখে দিন। এর প্রভাবে পরিবারে সুখ-শান্তির বাস হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা দেখা দেবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.