দশমীর ঘট বিসর্জনের পর ফের শুরু হয় দুর্গার আরাধনা, অপরাজিতা পুজোর মাহাত্ম্য জানেন কি

ODD বাংলা ডেস্ক: দশমীর দিন ঘট বিসর্জনের পর শুরু হয় দেবী অপরাজিতা পুজো। এদিন নীল অপরাজিতার ফুলের মালা পরানো হয় মায়ের গলায়। পাশপাশি দশমীর বিসর্জনের পুজোতেও থাকে অপরাজিতা ফুল। বনেদী বাড়ির পুজোগুলিতে অপরাজিতা পুজো বিশেষ উল্লেখযোগ্য। 

প্রসঙ্গত, সেকালের রাজারা শরৎকালে নবরাত্র ব্রতের পরে বিজয়া দশমীতে যুদ্ধযাত্রা করতেন। কৌটিল্যের 'অর্থশাস্ত্র'-এ সময়কেই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্মার্ত পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর 'তিথিতত্ব' গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, যে রাজা দশমী ত্যাগ করে যাত্রা করেন, সংবৎসর যাবৎ তাঁর কুত্রাপি জয় হয় না।

দশমীর পুজোর পর অপরাজিতা গাছকে পুজো করা হয়। বাড়িতে যদি সাদা অপরাজিতার গাছ থাকে তাহলে খুবই ভাল। দেবীরূপে অপরাজিতাকে ফুল, বেলপাতা দিয়েই পুজো করা হয়। অনেক বনেদী বাড়িতে আবার ঘট স্থাপনও করা হয়। পুজোর ফল লাভের জন্য হাতে অপরাজিতা লতা বাঁধার রীতিও রয়েছে। প্রার্থনা জানানো হয়, 'অপরাজিতা, তুমি সর্বদা আমার বিজয় বর্ধন কর। আমার মঙ্গল ও বিজয় লাভের জন্য আমি দক্ষিণ হাতে তোমাকে ধারণ করছি। তুমি শত্রু নাশ করে নানা সমৃদ্ধির সহিত আমাকে বিজয় দান কর। রামচন্দ্র যেমন রাবণের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন, আমারও যেন সেইরূপ জয় লাভ হয়।'

এছাড়াও ঘট বিসর্জনের পর একটি পদ্ম এনে লাল শালুতে মুড়ে বাড়িতে রাখুন। বিশ্বাস, এতে বাড়ির মঙ্গল হয়। সব বাধা বিঘ্ন কেটে যায়। সেই সঙ্গে এদিন সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে রাখলেও ভালো ফল পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.