রাত জাগেন? সাবধান!

ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের শরীর কর্মক্ষম ও মন প্রফুল্ল রাখতে পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন অপরিসীম। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে স্থিরতা প্রদান করে, মানসিক চাপ কমায় ও দেহে কাজ করার শক্তি জোগায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির প্রভাবে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর বিষয়টি অধিকাংশ মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে চরমভাবে অবহেলিত। এই অপর্যাপ্ত ও অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাসের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

সাধারণত এক বা দুদিন রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে পরদিন দেহে ক্লান্তি, অবসাদ, মনোযোগহীনতা দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, যা দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়।

#রাত জাগলে যা হয়

ওজন বেড়ে যায়

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়

মানসিক অবসাদ বৃদ্ধি পায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়

অতিরিক্ত স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ও চক্ষুরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়

আয়ু হ্রাস পায়

#সময়মতো ঘুমাতে করণীয়

ঘুমানোর আধঘণ্টা আগে থেকে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার না করা। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে যে ব্লু লাইট নিঃসরণ হয়, তা ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

সন্ধ্যার পর চা, কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলা।

ধূমপান বাদ দেওয়া। এতে থাকা নিকোটিন মস্তিষ্ককে উত্তেজিত রাখে, এতে ঘুমানোর সমস্যা দেখা দেয়। দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া।

রাতে খাওয়ার পর আধঘণ্টা হাঁটা বা ঘুমাতে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে হালকা শরীরচর্চা করা। এতে শরীর সার্বিকভাবে সবল থাকবে এবং ঘুমও তাড়াতাড়ি আসে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম জলে স্নান করা যেতে পারে। এটি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে ঠান্ডা রেখে ঘুম আসতে সহায়তা করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.