মাসিকের সময় অতিরিক্ত পেট ব্যথা হতে পারে জরায়ুর রোগের কারণ, সমস্যা সমাধানে জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মাসিকের সময় অতিরিক্ত পেট ব্যথা, অধিক রক্তস্রাব, নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মাসিক হওয়া, কিংবা দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব, সহবাসের পর রক্তক্ষরণ হতে পারে কঠিন রোগের ইঙ্গিত। বর্তমানে জরায়ু বা ইউটেরাস জনিত নানান রোগে ভুগছেন অনেকে। জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ু বড় হয়ে যাওয়া, সিস্ট, টিউমার মতো সমস্যায় বর্তমানে অনেকে ভুক্তভোগী। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঙ্গে সুস্থ হতে চাইলে জীবনযাত্রায় আনুন কয়টি পরিবর্তন। দেখে নিন কী করলে জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।


সবার আগে কমিয়ে দিন ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা। ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে গর্ভপাত, জন্মগত জটিলতার মতো সমস্যা দেখা যায়। এই ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বাড়ায়। তাই যতটা পারবেন কম গ্রহণ করুন ক্যাফেইন।


কখনোই মূত্রাশয় বা অন্ত্রের গতিবিধ আটকাবেন না। এই স্থানে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। যা জরায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে। তাই মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।


তেমনই ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন বদ্ধ করুন। এতে জরায়ুর ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। সুস্থ থাকতে এই দুই খারাপ অভ্যেস ত্যাগ করা প্রয়োজন।


তেমনই খাদ্যতালিতায় যোগ করুন বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। খান ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার। যা জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মেনে চলুন বিশেষ এই টোটকা।


রোজ সবজি খান। এতে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। নিয়মিত সবজি সেদ্ধ খেলে জরায়ুতে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে। যে জরায়ু টিউমার হওয়ার সম্ভবনাও কমে যায়।


খেতে পারেন ওটস, বাজরা, ব্রাউন রাইস ও গমের রুটি। এই ধরনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার আছে। যা ফাইব্রয়েড টিউমার রোধ করে। অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন শরীর থেকে বের করে দেয়। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এমন খাবার।


তেমনই খেতে পারেন দুগ্ধজাতীয় পণ্য। দই, দুধ, বাটার মিল্ক খাদ্যতালিকায় যোগ করুন। এগুলো ক্যালসিয়াম শোষণ করে ও ফাইব্রয়েড টিউমার রোধ করে। হাড় শক্ত করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।


সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সাইকেল চালান। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। তেমনই জরায়ুর চাপপাশের পেশি শক্তিশালী হবে। সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সকল বিশেষ টোটকা। সঠিক বাবে এই সকল নিয়ম পালন শরীর থাকবে সুস্থ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.