খাঁচায় বন্দি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ

ODD বাংলা ডেস্ক: একাকিত্ব মানুষকে গ্রাস করে ফেলতে পারে। যদিও এর ভালো দিকও রয়েছে। তাই বলে মানুষ কতসময় একা থাকতে চাইবে? দিন শেষে মানুষ মানুষের কাছে আসতে চায়। প্রতিটি মানুষ চায় তার নিজের গল্প অন্যকে শোনাতে। এর ব্যতিক্রমও ঘটে। এমন এক ব্যতিক্রম ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন।

একাকিত্বে থাকার বিপদ কাটাতে এক ব্যক্তি ঘনে নিয়ে এসেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। ঐ দেশের এক নাগরিক ড্যানিয়েল এমলিন-জোনস। ড্যানিয়েল বাড়িতেই রোপণ করেছেন পৃথিবীর সব থেকে বিষাক্ত গাছ ‘জিম্পি-জিম্পি’, এটি পরিচিত ‘অস্ট্রেলিয়ান স্টিঙ্গিং ট্রি’ নামেও। এই গাছের এক হুলে মাসের পর মাস ব্যথায় কাতরাতে থাকেন এক জন সুস্থ-সবল মানুষ। এমনকি এই গাছের হুল শরীরে ফুটলে এতটাই যন্ত্রণা হয় যে, মানুষের মনে আত্মহত্যার চিন্তাও আসে।

সেই সব বিপদের কথা জেনেও পেশায় গৃহশিক্ষক ৪৯ বছর বয়সি ড্যানিয়েল তার বাড়িতে ‘জিম্পি-জিম্পি’ গাছ রোপন করেছেন। তবে বাড়ির মধ্যে গাছটিকে অতি যত্নে এবং সাবধানেই রাখা হয়েছে। গাছটি সকলের নাগালের বাইরে রাখতে একটি খাঁচার ভেতরে রেখেছেন তিনি। খাঁচার বাইরে ‘বিপজ্জনক’ লিখে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে বলেও ড্যানিয়েল জানিয়েছেন।

ড্যানিয়েল ব্রিটিশ সংবাদপত্র মেট্রোকে জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে বসে বসে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ঠিক করেন জীবনে সাহসী কিছু কাজ করবেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘জিম্পি-জিম্পি’ রোপণের সিদ্ধান্ত নেন।

কীভাবে বাড়িতে রোপণ করা যাবে সেই বিষয়ে ড্যানিয়েলের টিপস,  অনলাইনে এই গাছের বীজ পাওয়া যায়। তবে এই গাছ রোপণ করতে হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বণ করতে হবে। যে টবে গাছ রোপণ করবেন, তার বাইরে আর কোথাও যেন ঐ গাছের বীজ না পড়ে।’ যখন এই গাছ হুল ফোটায় তখন মনে হয়, যেন কেউ সেই জায়গায় অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে।

এই গাছ কেউ লাগাতে চাইলে বেশ দাম দিয়েই কিনতে হবে বীজ। বিষয়টি এরকম যে, টাকা দিয়ে বিপদ ডেকে আনা। প্রতিটি বীজের দাম প্রায় তিন হাজার টাকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.