কাউকে একসঙ্গে ৩টে রুটি কখনও দেবেন না, কারণ জড়িয়ে মত্যুর সঙ্গে!



 ODD বাংলা ডেস্ক: রুটি বা চাপাটি ভারতীয় খাদ্যাভ্যাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের খাদ্যতালিকায় প্রায় প্রতিদিনই রুটি অবশ্যই থাকে। রুটি আমাদের অন্যতম প্রধান খাদ্য। রুটি কী ভাবে তৈরি করলে ও পরিবেশন করলে শুভ, সে সম্পর্কে জ্যোতিষশাস্ত্রে একাধিক নির্দেশ উল্লিখিত আছে। আজকে দেখে নিন কেন কাউকে একসঙ্গে তিনটে রুটি পরিবেশন করতে বারণ করা হয়ে থাকে।


কাউকে খেতে দেওয়ার সময় কখনোও একসঙ্গে তিনটে রুটি ভুলেও দেবেন ন। জ্যোতিষ অনুসারে প্লেটে একসঙ্গে তিনটে রুটি দেওয়া অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। জেনে নিন কেন একসঙ্গে তিনটে রুটি দেওয়া অশুভ বলে মনে করা হয়।


* প্রথমত হিন্দুধর্মে তিন সংখ্যাটি অশুভ। সেই কারণে খাবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে তিন সংখ্যার ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করার কথা বলা হয়ে থাকে। সেই কারণে কারোর থালায় একসঙ্গে তিনটে রুটি দিতে বারণ করে থাকেন প্রবীণ সদস্যরা। একই কারণে একসঙ্গে তিন হাতা ভাত দিতেও বারণ করা হয়।


* এছাড়া যখন কোনও মানুষের মৃত্যু হয়, তখন তাঁর শ্রাদ্ধকর্ম করার সময় তাঁর উদ্দেশ্যে যে খাবার নিবেদন করা হয়, সেখানে তিনটি রুটি বা পুরী রাখা হয়ে থাকে। সেই কারণে যে প্লেটে তিনটি রুটি থাকে তাকে মৃতের প্লেট বলা হয়। সেই কারণে কখনোও অন্য় কাউকে একসঙ্গে তিনটে রুটি দিতে নেই।


* কথায় বলে, 'তিনে তিন শত্রু'। অর্থাত্‍ কোনও কিছু কাউকে তিনটে দিলে তাতে শত্রুতা হয়ে যায়। এই বিশ্বাস অনুসারে কাউকে তিনটে রুটি দিলে সেই ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। তাই ঝামেলা এড়াতে কখনোও কাউকে একসঙ্গে তিনটে রুটি দেবেন না।


* বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও একসঙ্গে তিনটে রুটি কাউকে দেওয়া উচিত নয়। কারণ ডাক্তাররা একবারে বেশি খেতে বারণ করেন। একবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প অল্প করে খেতে বলা হয়। তাই একজন সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একসঙ্গে একটা ছোট বাটি ডাল, একটা ছোট বাটি সবজি, ৫০ গ্রাম চালের ভাত ও দুটো রুটি খাওয়া উচিত। তার বেশি খেয়ে ফেললে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.